২০২৩ সালে দুবাই জিডিপি’তে এভিয়েশন খাতের অবদান ২৭ শতাংশ

নিউজ  ডেস্ক  :: এমিরেটস গ্রুপ এবং দুবাই এয়ারপোর্টস আজ দুবাই অর্থনীতিতে এভিয়েশন খাতের প্রভাব বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে সংখ্যাগত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কীভাবে এভিয়েশন খাত দুবাই অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। আর্থিক ও যাত্রী প্রবৃদ্ধির ভিত্তিতে এভিয়েশন খাতের ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতার একটি পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইকোনমিক্স কর্তৃক তৈরি এই প্রতিবেদনে এভিয়েশন খাত কীভাবে সরাসরি দুবাইয়ের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেগবান করছে এবং পরোক্ষভাবে সাপ্লাই চেন এবং স্থানীয় এভিয়েশন কর্মী বাহিনী কীভাবে আর্থিক খাত ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, তা তুলে ধরা হয়েছে।

দুবাই এভিয়েশন খাত দেশটিতে পর্যটন ব্যয় বৃদ্ধিতে যে প্রভাবক ভূমিকা পালন করছে, তাও গবেষণা প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে। এমিরেটস এয়ারলাইন ও গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী এবং দুবাই এয়ারপোর্টসের চেয়ারম্যান শেখ আহমেদ বিন সাঈদ আল মাকতুম বলেন, ‘অদ্যাবধি আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কৌশলে দুবাই এভিয়েশন খাত মূল স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত এবং অর্থনৈতিক এজেন্ডায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

’দুবাই অর্থনীতিতে এভিয়েশন খাতের অবদান ২০২৩ সালে দুবাইয়ের জিডিপি’তে এভিয়েশন খাতের অবদান ছিল ৩৭.৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৭ শতাংশ। দুবাই এভিয়েশন খাতের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে এমিরেটস গ্রুপ, দুবাই এয়ারপোর্টস এবং এই খাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান (ফ্লাইদুবাই, দুবাই ডিউটি ফ্রি, দুবাই এভিয়েশন প্রকৌশল প্রকল্প, দুবাই পুলিশ, দুবাই কাস্টমস, দুবাই ইমিগ্রেশন, দুবাই এয়ার নেভিগেশন সার্ভিসেস, সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি, জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ রেসিডেন্সী অ্যান্ড ফরেনার্স এফেয়ার্স, দুবাই এভিয়েশন সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি)।

এমিরেটস এবং দুবাই এয়ারপোর্টসের দ্বারা সমর্থিত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে দুবাই এভিয়েশন খাতের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ দুবাই জিডিপি’তে এভিয়েশন খাতের অবদান ৩২ শতাংশে উন্নীত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এভিয়েশন সমর্থিত কার্যক্রমে ২০২৩ সালে মোট কর্মস্থানের সংখ্যা ছিল ৬৩১,০০০ টি, যা প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি।

২০৩০ সাল নাগাদ আরও ১৮৫,০০০টি এভিয়েশন সম্পর্কিত কর্মস্থানের সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময়ে, দুবাই এভিয়েশন খাত সমর্থিত মোট কর্মস্থানের সংখ্যা ৮১৬,০০০ এ উন্নীত হবে। দুবাই এভিয়েশন ও পর্যটন দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটনের প্রবৃদ্ধিতে এভিয়েশন খাত চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

পর্যটকরা ২০২২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী দুবাইয়ে গড়ে ৩.৮ রাত্রী অবস্থান করেছেন এবং তারা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং ও পর্যটন আকর্ষণ পরিদর্শনে জনপ্রতি গড়ে ৪,৩০০ ইউএই দিরহাম ব্যয় করেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী দুবাই আগমনকারী বিদেশীরা গত বছর প্রায় ৬৬ বিলিয়ন ইউএই দিরহাম ব্যয় করেছেন।

দুবাই জিডিপি’তে এভিয়েশন সমর্থিত পর্যটন ব্যয়ের অবদান ৮.৫ শতাংশ এবং এভিয়েশন সমর্থিত পর্যটনে ৩২৯,০০০ কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ছয় বছরে দুবাইয়ে পর্যটন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে এবং জিডিপি’তে পর্যটন ব্যয়ের অবদান ১০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র :দেশ রূপান্তর নিউজ





সম্পর্কিত সংবাদ

  • বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শুল্ক ছাড়ের আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি
  • পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের কান্না কেউ শুনছে না
  • পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা!
  • সরকারি কর্মচারীসহ অন্যান্য কর্মীদের ই-রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক
  • সোনার ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়ল
  • রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করল বাংলাদেশ
  • বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে শক্ত অবস্থানে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ