বন্যার্তদের পাশে সালমা

নিউজ  ডেস্ক  :: আমি ঢাকায় ছিলাম। হঠাৎ করেই যখন বন্যায় শেরপুর, ময়মনসিংহের এলাকা ডুবতে শুরু করল তখন আমি ফেসবুকে এসে মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছি যেন তারা বন্যাকবলিত এলাকায় যায়। কিন্তু আমি আশানুরূপ সাড়া পাইনি। তাই নিজেই ছুটে এসেছি। আমি এখন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকায় আছি। এখান থেকে আমি ও আমার স্বামী সানাউল্লাহ নূরি সাগর মিলে ত্রাণ সরবরাহ করছি।

বলছিলেন কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা। এই গায়িকা স্বামী সাগরকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন সাফিয়া ফাউন্ডেশন। মূলত কোমলমতি শিশু ও অসহায় মানুষের জন্য গড়েছিলেন এই ফাউন্ডেশন। কিন্তু যে কোনো দুর্যোগেই এখন কাজ করতে চাচ্ছেন। তাই নিজের শ্বশুরবাড়ি এলাকা যখন বন্যায় ডুবে গিয়েছে, তখন সব গানের রেকর্ডিং স্থগিত করে ছুটে গিয়েছেন বন্যাকবলিত এলাকায়। সালমা বললেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম, নিয়মিত গানের রেকর্ডিং ছিল।

কিন্তু অনুরোধ করে সেসব গানের রেকর্ডিং স্থগিত করে আমি ছুটে এসেছি। কোন কোন এলাকায় মানুষ বন্যায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছে আমি ফেসবুক লাইভে সে সবের খবর নিয়েছি। এরপর দুর্গম অঞ্চলে, যেখানে সহজে কেউ যেতে পারছি এইসব এলাকায় গত তিনদিন আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে খিচুড়ি ও মাংস প্যাকেট করে নিয়ে গিয়েছি।’সালমা বলেন, আমরা তো অনেক ধনী নই। আমার স্বামী ও আমার মানসিকতার মধ্যে মিল রয়েছে, ‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।

তাই আমরা দুজনই এই উদ্যোগ গ্রহণ করে নিজেদের মতো করেই সাহায্য করে যাচ্ছি। আজ (মঙ্গলবার) আমরা শুকনো খাবার, চিড়ামুড়ি, গুড়, এসব খাবার নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাব। এখনো সে সবের প্যাকেট চলছে। এসব খাবার নিয়ে যেতে হবে নৌকায়। অন্য কোনো পথ নেই। সে সবের প্রস্তুতি চলছে।’এখন পর্যন্ত শেরপুর, নালিতাবাড়ী, ধোবাউড়া, গোপিনাথপুরসহ অনেক নাম না জানা এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে সালমার ফাউন্ডেশন।

সালমা ও সাগরের প্রতিষ্ঠিত  সামাজিক সংগঠন ‘সাফিয়া ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষ থেকে ১৫-২০ সদস্যের টিম কাজ করছে বন্যার্ত অঞ্চলে। এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানালেন ক্লোজআপ খ্যাত এই গায়িকা। বললেন, ‘আমি জানি না, আমরা আসলে কতদূর পর্যন্ত পারব। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত সক্ষম আমরা করে যাব। আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এলাকার অনেক তরুণ, যারা আমাদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।’সালমা অন্যদেরও বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বললেন, ‘অনেক দুর্গম এলাকায় মানুষ কষ্টে আছে। তাদের অনেক সহায়তা প্রয়োজন। আমি আশা করব যেসব সংগঠন মানুষের জন্য কাজ করে, তারা এগিয়ে আসুন।’নিজের ফাউন্ডেশন নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে সালমা বললেন, ‘আমরা তো আসলে দুজনই। আমাদের অন্য কোনো সহায়তা নেই। ধীরে ধীরে আমার স্বামীর আয় বাড়বে, আমাদের জমানো টাকা বাড়বে। আমার ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে। তখন আমরা সারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আয়ের ৭৫ শতাংশ মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করব।’

সূত্র : দেশ রূপান্তর নিউজ





সম্পর্কিত সংবাদ

  • ভারত থেকে আমদানি চালের প্রথম চালান আসবে কাল
  • ভারত থেকে আবারও ট্রেনে ১৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
  • টেকনোলজি লিডারশিপে সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিএটি বাংলাদেশের সারজিল সারওয়ার
  • বাংলাদেশকে আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেব এডিবি
  • ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অসামান্য সাফল্য অর্জন
  • সীমান্ত বন্ধ হলে বড় ক্ষতি ভারতের, ঝুঁকিতে লাখো মানুষের জীবিকা
  • ই-সিগারেট  নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি
  • অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা