ইউসিবি’র ‘ভরসার নতুন জানালা’ উদ্যোগের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ পেলেন শেরপুরের ১৬০ কৃষি-উদ্যোক্তা

 নিউজ ডেস্ক :: সম্প্রতি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র (ইউসিবি) কৃষি সহায়তা উদ্যোগ ‘ভরসার নতুন জানালা’র আওতায় শেরপুরের কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এটি এই উদ্যোগের অধীনে ৫৯তম আয়োজন। আজ ১২ ডিসেম্বর শেরপুর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ৫টি উপজেলা থেকে মোট ১৬০ জন কৃষি-উদ্যোক্তা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইউসিবি’র করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) প্রকল্পের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। সম্ভাবনাময় কৃষি-উদ্যোক্তাদের আরও সক্ষম করে তুলতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিভির কৃষি-ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’-এর উপস্থাপক ও কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন; শেরপুর সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ পলাশ কান্তি দত্ত; জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (শেরপুর) প্রনব কুমার কর্মকার এবং অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র জামালপুর ব্রাঞ্চের ম‍্যানেজার মো শরীফ হাসান সরকার।

কৃষিতথ্য বিশ্লেষক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, “বিশ্বজুড়ে চলমান পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রবর্তন এবং আমাদের কৃষক ও কৃষি-উদ্যোক্তাদের সেই পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষক ও কৃষি-উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করলে আমরা একটি প্রতিকুল পরিবেশ সহিষ্ণু কৃষি খাত গড়ে তুলতে পারবো; যা দেশকে খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। এই সিএসআর উদ্যোগের লক্ষ্য কৃষকদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করা।”

উল্লেখ্য, কৃষকদের সুবিধার্থে ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে ইউসিবি। এসবের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন জাতের বৃক্ষরোপণ, কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ, এআই-নির্ভর ‘আরো মাছ’ (মোরফিশ) ডিভাইসের মতো কৃষি-সংক্রান্ত স্মার্ট ডিভাইস বিতরণ, তামাকের বিকল্প শস্য হিসেবে ভুট্টাচাষে উৎসাহদান, বজ্রপাত থেকে রক্ষা করতে লাইটনিং অ্যারেস্টার ডিভাইস স্থাপন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য উৎপাদন যন্ত্রাংশ বিতরণ ইত্যাদি।






সম্পর্কিত সংবাদ

  • ঠান্ডা ও কুয়াশায় কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব : বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা
  • আশাশুনিতে বিনা চাষ ও চাষকৃত জমিতে সরিষা আবাদ, দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে সুশোভিত
  • শ্যামনগর হাটে-বাজারে ভেজাল সারে সয়লাব উৎপাদন হচ্ছে ব্যহত, প্রতারিত হচ্ছে কৃষক।
  • আশাশুনিতে শাক-সবজী বীজ বিতরণ ও চাষী প্রশিক্ষন
  • ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে কৃষকের রক্ত চুষেছে
  • আশাশুনিতে ৪৮ কৃষককে  কৃষি সামগ্রী বিতরণ
  • চুয়াডাঙ্গার ১৫০ কৃষি উদ্যোক্তার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ আয়োজন