নিউজ ডেস্ক :: গতকাল জেদ্দায় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়কমন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমুদ্রপথে বাংলাদেশি হাজি গ্রহণে সৌদি আরবের সম্মতি রয়েছে বলে সেই বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
জেদ্দায় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকটি ছিল আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজি প্রেরণে সৌদি সরকারের কোনো বাধা নেই। তবে বন্দর কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে নেব। বাংলাদেশকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। পানির জাহাজযোগে ২/৩ হাজার হাজিকে পরীক্ষামূলকভাবে হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে প্রেরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ চিন্তাভাবনা করছে।
সৌদি মন্ত্রী হাজিদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। বাংলাদেশের হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধিদের হজের ২/৩ মাস আগে আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বারবার সৌদি আরব যেতে হয়। সে জন্য মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা এ ব্যাপারে হজমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মুনাজ্জেম ভিসা ইস্যুর আশ্বাস দেন।
রোড টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ঢাকার হজ ক্যাম্পে সৌদি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয় এবং হাজিদের লাগেজ সৌদি হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যায়। প্রসঙ্গটি তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ইতিপূর্বে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি প্রেরণের কোটা দেওয়া হয়। ধর্মীয় উপদেষ্টা এ ব্যাপারে ২০২৪ সালের অনুরূপ ২৫০ এ সিলিং করার অনুরোধ করেন। সৌদি মন্ত্রী ব্যাপারটি সদয় বিবেচনার আশ্বাস দেন।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজমন্ত্রীকে সহায়তা করেন হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা ও হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামি। বাংলাদেশি টিমে ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচির আবদুল হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলামুদ্দিন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ড. সাদিক হোসাইন ও জেদ্দা হজ মিশনের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়কমন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রবিয়াহ বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনকে তার জেদ্দার সচিবালয়ে কাবা শরিফের গিলাফ দিয়ে তৈরি স্মারক প্রদান করেন।
সূত্র: দেশ রূপান্তর নিউজ