বন্ধ হয়ে গেল বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন
নিউজ ডেস্ক::দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই ইউনিটটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৩টি ইউনিটের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ থাকলেও সচল ছিল তৃতীয় ইউনিট। যা থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এবং জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল।
পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি মোতাবেক এ সময় উৎপাদন সচল রাখতে ছোট ধরনের মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিছুই করেননি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
যার কারণেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার বার ত্রুটি দেখা দিলেও সঠিকভাবে মেরামত করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজ ব্যহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে প্রতিটি ইউনিট সচল রাখতে প্রয়োজন হয় দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প।
যা ওই ইউনিটের জ্বালানি হিসেবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই ৩টি ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট থাকায় যেকোনো সময় বন্ধের ঝুঁকি নিয়ে বিকল্প হিসেবে একটি ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প দিয়ে চলে আসছিল এর উৎপাদন কার্যক্রম। ফলে মাঝে মধ্যেই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হতো তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন।
একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবগত করলে তারা অজ্ঞাত কারণে তা আমলে নেননি। সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর মেরামতের মাধ্যমে তৃতীয় ইউনিটটি চালু করা হলে দুদিনের মাথায় আবারও সোমবার সন্ধ্যায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় সকল কার্যক্রম।
বড়পুকুরিয়া কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রতিটি ইউনিটের জন্য দুটি করে ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প থাকে।
যা ওই ইউনিটের জ্বালানি হিসেবে তেল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকেই তৃতীয় ইউনিটের দুটির মধ্যে একটি পাম্প নষ্ট হয়ে যায়।
এরপর থেকে একটি পাম্প দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। কিন্তু ওই একটি পম্পও সোমবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দিনব্যাপী চেষ্টা করেও চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন।
আবু বক্কর সিদ্দিক আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। চীন থেকে মেশিন এলেই উৎপাদন শুরু করা যাবে।
সূত্র :যুগান্তর নিউজ
সম্পর্কিত সংবাদ
পাইকগাছার সোলাদানায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সাথে বিএনপির মতবিনিময়
পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি :: পাইকগাছায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সাথে উপজেলা বিএনপি ধারাবাহিক মতবিনিময়েরবিস্তারিত…
ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর ছুরিকাঘাতে বৃদ্ধ খুন
নিউজ ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের ছাতকে মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে বাড়িতে ফেরার পর হাফেজ সৈয়দ মাহমুদুলবিস্তারিত…