অতএব ইসলামের বিধান হলো কেউই তিনদিনের অতিরিক্ত শোক পালন করবে না। শুধু স্বামী মারা গেলে চার মাস ১০ দিন অথবা সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত মহিলারা শোক পালন কিংবা ইদ্দত পূর্ণ করবেন। মৃত্যু দিবস পালন করা, এ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা, নতুন করে আবার শোক দিবস পালন করা, এসব ইসলামে নেই। মৃত ব্যক্তিদের ব্যাপারে যা করণীয় ইসলামে রয়েছে তা হলো, সব সময়ই তাদের জন্য দোয়া করা।
হজরত রাসুল (সা.)-এর জীবনেও শোক এসেছে। বিভিন্ন সময় তার প্রিয়জনদের হারাতে হয়েছে। জন্মের আগে পিতাকে আর ছয় বছর বয়সে মাকে হারান। আট বছর বয়সে দাদাকে হারিয়ে একেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন। নবুয়তের দশম বছরে তার চাচা আবু তালেব ইন্তেকাল করেন। এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই পাঁচ দিনের ব্যবধানে তার সহধর্মিণী খাদিজা (রা.)
ইন্তেকাল করেন। এছাড়া রাসুল (সা.)-এর ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ফাতেমা (রা.) ছাড়া সবাই তার জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করেন। সন্তান হারানোর কষ্ট তাকে সইতে হয়েছে। তিনি প্রতি বছর শোক পালন করেননি। সাহাবিদের জীবনীতেও শোক দিবস পালনের উদাহরণ নেই। আমাদেরও প্রিয়নবী ও সাহাবিদের অনুসরণ করতে হবে। প্রিয়জনকে হারানোর দুঃখ-বেদনা কঠিন বাস্তবতা।
প্রিয়জনের মৃত্যুর ফলে পাওয়া দুঃখকেই সাধারণত শোক বলা হয়। মহান আল্লাহ এই কষ্টের বিনিময় দান করবেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই প্রতিদান প্রাপ্তির আশায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তকদিরের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি যার কোনো প্রিয়জনকে উঠিয়ে নিই আর সে ধৈর্য ধারণ করে এবং নেকির আশা রাখে আমি তাকে জান্নাত দিয়েই সন্তুষ্ট হব।’ (তিরমিজি)