আশাশুনিতে জবর দখলকারীদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন
জি এম মুজিবুর রহমান :: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজায় ক্রয়কৃত জমি বৈধ ভোগজাতকারীদের উচ্ছেদ করে জবর দখলকারী চক্রের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, তার ভাই ইয়াছিন আলি ও আব্দুল হাকিম সরদার কোবলা দলিল মূলে আব্বাছ আলী দিং এর নিকট থেকে লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজার এসএ ২৯৪ নং খতিয়ানে সাবেক ১১০০ ও হাল ২৫৮৮ নং দাগে এবং খালের ৮০১ নং দাগে ০.৪৮ একর জমি ১৯৮৮ সালে ক্রয় করেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বত্ত্ববান ও ভোগদখলিকার থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালে মাড়িয়ালা গ্রামের ইবাদুল গাজীর ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা ইনছান আলী, আমির হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে শামিমুজ্জামান পলাশ, আবুল কালাম মোড়ল, আবু হাসান মোড়ল, মফিজুল মোড়ল ও ওহিদুল্লাহ কামাল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে বেআইনি ভাবে তাদের সম্পত্তি জবরদখল করে নেয়। এবং সেখানে বালি ভরাট দিয়ে আওয়ামীলীগ অফিস, মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও আফম রুহুল হক পাঠাগার স্থাপন করে। এখবর ২/৬/১৭ ও ২/৪/১৮ তাং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তাছাড়া জমির উপরে থাকা ৩টি দোকান ঘর ও ২০ হাজার ইট ট্রলিতে করে নিয়ে আত্মসাৎ করে। জমিজমা রক্ষার্থে কাজ করলে গোলযোগের সৃ্স্টি হয়। বাধ্য হয়ে আমি ও আমার ভাই আঃ হাকিম বিজ্ঞ আমলি আদালতে সিআর ৯২/২০১৬ নং মামলা দায়ের করি। যা চলমান রয়েছে। মামলা দায়ের করায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং দলীয় দাপট দেখিয়ে ২৮/৪/১৮ তাং আসামীরা আমার মেঝ ভাই আঃ হাকিমকে হত্যার উদ্দেশ্য পিঠের বাম পাশে শাবল দ্বারা আঘাত করলে পাজরের হাড় কেটে ফুসফুস ছিদ্র হয়ে যায়। এঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮/৪/১৮ তাং সিআর ৯২/২০১৮ নং মামলা দায়ের করি। এ মামলাটিও বিচারাধীন আছে।
আমাদের ঐ সম্পত্তির সমুদয় কাগজপত্র বৈধ থাকায় এবং জবরদখলকারীদের দখল অবৈধ হওয়ায় ২০২১ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী মৌাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে তারা পুনরায় সেখানে জবর দখল নিয়ে দুটি ঘর নির্মান করে বহাল তবিয়তে রামরাজত্ব কায়েম করতে থাকে। স্বৈর শাসক শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর এলাকার ত্রাস ও অবৈধ দখলকারীরা গ্রেফতারের ভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। আমরা ৫ আগস্ট যখন বিজয় মিছিলে ছিলাম তখন ২০১৬ সালের জবর দখলকারী চক্র এলাকার ত্রাস ইয়াছিন ও তার বাহিনীর লোকজন সাতক্ষীরায় বসে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক বানানো দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের সাজানো কাহিনী ও অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে, আশাশুনিতে যুবদল নেতার দখল থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনার অপচেষ্টা চালায়। এবং দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগ আনে, যা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অথচ আমরা কোন ভাংচুর লুটপাট করিনি, এমন কোন ঘটনাও সেখানে ঘটেনি। আমরা ভূমি দস্যু ইনছান ও তার বাহিনীর অবৈধ দখলদারিত্ব, ত্রাসের রাজত্বের পাশাপাশি মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র প্রতারোধ এবং আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থার জন্য জাতীয়তাবাদী যুবদল ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান ও নূর ইসলাম সরদার, যুবদল আহবায়কের ভাই আঃ হাকিম ও আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
« পাইকগাছার কপোতাক্ষের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন : ঝুঁকিতে এলাকাবাসী (পূর্ববর্তী সংবাদ)
(পরবর্তী সংবাদ) শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু’র মৃত্যুতে খুলনা উন্নয়ন কমিটির শোক »
সম্পর্কিত সংবাদ
বুধহাটায় ইসলামী আন্দোলনের সদস্য তারবিয়াত অনুষ্ঠিত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা দঃপাড়া বাইতুন নুর জামে মসজিদে ইসলামীবিস্তারিত…
আশাশুনিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :: আশাশুনিতে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২৪ পালনবিস্তারিত…