অনুমতির আগেই সুন্দরবনের মধু হচ্ছে লাপাত্তা 

আহসান হাবীব সিয়াম, শ্যামনগর প্রতিনিধি ::  আগামী ১ এপ্রিল থেকে মৌয়ালদের মধু আহরণের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি দেবে বন বিভাগ। বৈধঅনুমতির আগেই জেলের বেশে কিছু অসাধু ব্যক্তি বনে ঢুকে অপরিণত চাককেটে মধু সংগ্রহ করছেন।
এতে পূর্ণ মৌসুমে কাঙ্খিত মধু না পাওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন সুন্দরবনের মৌয়ালরা। পশ্চিম অভয়ারণ্য এলাকাগুলোতে মাছ ও কাঁকড়া সুন্দরবনের চলছে হরিবোল ধরা জেলেদের পাশ নিয়ে ও অবৈধভাবে প্রবেশ করে নিয়মিত হরিন শিকারের পাশাপাশি বর্তমানে ব্যাপকভাবে চুরি করে মধু কেটে নিয়ে আসা হচ্ছে। বন বিভাগের তেমন কোন তৎপরতা নেই বললেই চলে। সরেজমিনে সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সুন্দরবন থেকে চুরি করে সংগ্রহ করা খলিশাফুলের মধু চড়া মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

মৌয়ালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতে সুন্দরবনে খলিশা ও গরান ফুলের মধু আসে। এরপর আসে কেওড়া ফুলের মধু। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি হচ্ছে খলিশার মধু। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকার কাশেম গাজী জানান, মধু সংগ্রহ করতে মৌয়ালরা আগামী এপ্রিলের ১ তারিখে সুন্দরবনে ঢুকতে বন বিভাগের অনুমতি পাবেন। অর্থচ মার্চ মাসেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় প্রতি কেজি সুন্দরবনের মধু বিক্রি হচ্ছে। মূলত বেশি দামের আশায় মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেরা এসব মধু সংগ্রহ করছেন ফলে কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ে বনে ঢুকে প্রত্যাশিত পরিমাণ মধু সংগ্রহ নিয়ে তারা চিন্তায় পড়েছেন।

চাদনীমুখা গ্রামের মৌয়াল আব্দুল গফফার বলেন, একটা পরিপূর্ণ মধুর চাক থেকে কমপক্ষে পাঁচসাত কেজি মধু পাওয়া যায়। কিন্তু চোরা মধু আহরণকারীদের আগাম চাক কাটার কারণে চাকে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম মধু পাওয়া যায়। এবার বন থেকে যেভাবে মাছ ও কাঁকড়া শিকারের আড়ালে আগাম মধু কাটা হচ্ছে, তাতে মৌসুম শুরু হলে মধু কেমন হবে, তা বলা যাচ্ছে না। বেশি মধু না পেলে আমাদের চালান মার যাবে। তখন ঋণের বোঝা টেনে বেড়াতে হবে। এভাবে প্রতিনিয়ত যদি মধু চুরি করে আনা হয়, তাহলে বৈধ পাশ নিয়ে প্রকৃত মৌয়ালরা যখন বনে যাবে তখন তাদের প্রত্যাশিত মধু সংগ্রহ পুরন হবে না। তাদের যে পরিমান খরচ হবে সেটা উঠানো খুবই মুশকিল হয়ে যাবে। সে কারনে প্রকৃত মৌয়াল দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে।

বর্তমানে সুন্দরবনে চলছে হরিলুট, যে যেভাবে পারছে সুন্দরবন কে ধংস্ব করে যাচ্ছে। আর এর অন্তরালে রয়েছে বন বিভাগ। তাদের যেন কিছুই করার নেই।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সহকারী বন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, আগামী ১ এপ্রিল সুন্দরবনে মধু আহরণ শুরু হয়ে চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। তিনি বলেন, মৌসুম শুরুর আগে আগাম মধু চুরির অপতৎপরতা ঠেকাতে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।



« (পূর্ববর্তী সংবাদ)



সম্পর্কিত সংবাদ

  • শ্যামনগরে মিনহা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিল
  • আদালতের নির্দেশে শ্যামনগরে ইটভাটা বন্ধ
  • শ্যামনগর আটুলিয়া ভূমি অফিসে ১৭শ টাকার দাখিলার মূল্যে ২০ হাজার টাকা।
  • শ্যামনগরে ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন।
  • কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে শ্যামনগরের রাজা প্রতাপাদিত্যের জাহাজঘাটা নৌদুর্গ
  • শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান
  • শ্যামনগর সরকারি মহসীন কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান