সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার বিবৃতি

নিউজ  ডেস্ক  ::  ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এক বিবৃতি দিয়েছেন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা এবং বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
একটি সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থায় পাওয়া শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এ সব দাবি-দাওয়ার মধ্যে ন্যায্য-অন্যায্য এবং কিছুক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী দাবিও আছে। একটি বৈষম্যবিরোধী দাবি মানলে অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হতে পারে। শিক্ষা খাতের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবিপূরণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকে এবং এর জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া কঠিন, অথচ সব কয়টি দাবির পেছনের আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিকেই সবচেয়ে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন এবং দাবিগুলোকে শুধু রাস্তায় আন্দোলন করে তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য মনে করছেন।
এতে একদিকে যেমন রাস্তা অবরোধের ফলে অপরিসীম জনদুর্ভোগ হচ্ছে, সরকারও দাবিগুলো যথাযথ বিবেচনার সুযোগ পাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে, যা সাত সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে। সমস্যাটির শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে ঢাকার সাতটি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার একটি অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।
এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের উভয়পক্ষেরই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যে কারণে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। সমস্যাগুলো জটিল এবং এগুলোর সুষ্ঠু সমাধান কী হতে পারে তা বিবেচনায় ন্যূনতম কিছু সময়ের প্রয়োজন। স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ । এরই মধ্যে একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে।
দেশের সমস্যাসঙ্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি একজন আজীবন শিক্ষক হিসেবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমার সব সহানুভূতি আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, আন্দোলন ও আলটিমেটামের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোনো নজির কোথাও নেই। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ধৈর্য ধরার ও নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উল্লেখিত বিবৃতিটি প্রচার ও প্রকাশের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়।
সূত্র :কালবেলা নিউজ

 






সম্পর্কিত সংবাদ

  • সাতক্ষীরার ঢাবি পড়ুয়াদের ‘ডুসাস’ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সৈয়দপুরে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে দুই  দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত
  • নড়েরাবাদ চাম্পাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকাবাসীর গৌরব
  • আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও মামলা থাকলেও চলমান সত্বেও স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত
  • সৈয়দপুরে নয়াবাজার সর: প্রাথ: বিদ্যালয়ে বছরের প্রথম দিনে নতুন বই বিতরণের উদ্বোধন
  • কেশবপুর মঙ্গলকোট মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ফলাফল ঘোষণা 
  • বুধহাটা এবিসি কেজি স্কুলে বার্ষিক  পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আল কুরআনের শিক্ষা আর মহানবীর (স:) আদর্শের বিকল্প নেই