শিরোপায় চোখ বাংলাদেশের
নিউজ ডেস্ক::এইতো মাত্র দু’দিন আগে পাকিস্তানকে প্রথমবারের মতো টেস্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে শান্তরা ম্যাচটি জিতেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া ঐতিহাসিক জয়টা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতদের উৎসর্গ করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপেও ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ-মুগ্ধদের স্মরণ করেন বাংলাদেশি ফুটবলার।
এবার তাদের জন্য ট্রফি নিয়ে আসতে চাইছেন তারা। সেখানে তাদের বাধা নেপাল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে তিনটায় আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচটি শুরু হবে।
বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতাটি এ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৮, ১৯ ও ২০ এই তিন ক্যাটাগরিতে হয়েছে। ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-২০ ক্যাটাগরিতে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার তাদের হারিয়েই ফাইনালে উঠেছেল মিরাজুল আসাদুলরা। এবার সেই আক্ষেপ মেটাতে চান কোচ মারুফুল হকের শিষ্যরা।
আজ জিততে পারলেই শিরোপা উঠবে পিয়াস আহমেদদের হাতে। মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপাল ভাবাচ্ছে লাল সবুজের শিবিরকে। একই গ্রুপে থাকায় গ্রুপ পর্বেও দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। যেখানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি বাংলাদেশের। হেরেছিল ২-১ গোলে। তবে ওই ম্যাচের ভুল শুধরে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
ফাইনালেও শিষ্যদের সেই ধারাবাহিকতা দেখতে চান বাংলাদেশের কোচ মারুফুল হক। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলবো, চ্যাম্পিয়ন হবো। যদিও গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে হেরেছি। এরপর খেলোয়াড়দের নানাভাবে উজ্জীবিত করেছি। তাদের ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু করার। ভারতের বিপক্ষে জিতে এখন স্বপ্নের শেষ ধাপে আমরা। নেপালকে হারাতে পারলেই শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে পারবো।’
তিনি যোগ করেন, ‘নেপাল ভালো দল। তাদের বেশ ক’জন মেধাবী খেলোয়াড়ও আছে। আশা করি ফাইনাল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’ নেপালের মাঠকে পয়মন্ত বলেই আখ্যা দিলেন মারুফুল, ‘নেপালের মাঠ সবসময় বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। ফুটবল ৫১ ভাগ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা, বাকি ৪৯ ভাগ ভাগ্য।
এখন দেখা যাক কী হয়।’ এদিকে ফাইনালের আগে বাংলাদেশ শিবিরে দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের ইনজুরি। ফাইনালে মাঠে থাকতে পারছেন না তিনি। সোমবার সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আঘাত পেয়েছিলেন।
সেই আঘাত গুরুতর। তাই ফাইনাল খেলার পরিবর্তে দেশে ফিরতে হচ্ছে মেহেদীকে। দলের ম্যানেজার খন্দকার রকিবুল ইসলাম কাঠমান্ডু থেকে গোলকিপারের ইনজুরি সম্পর্কে বলেন, ‘চোখের নিচে বেশ বড় আঘাতই পেয়েছে সে। এখানকার চিকিৎসকদের অনুযায়ী পরামর্শ সার্জারি প্রয়োজন।
আমাদের সিদ্ধান্ত সেটা দেশেই করানো। সোমবার রাতে হাসপাতালেই ছিল। টিকিট পেলে ওকে দেশে পাঠিয়ে দিবো। মেহেদী এখন স্বাভাবিক রয়েছে।’ তবে শ্রাবণের জায়গায় যে খেলবেন সেই আসিফ বেশ আত্মবিশ্বাসী ফাইনাল নিয়ে বললেন, আমি ট্রফি নিয়েই ফিরতে চাই। আর এই ট্রফিটা ফুটবলাররা জিততে চাইছেন নতুন বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন শুরু হিসেবে।
সম্পর্কিত সংবাদ
‘ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখার করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম’
নিউজ ডেস্ক::অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন পাকিস্তান সিরিজ জয়ী বাংলাদেশবিস্তারিত…