পদোন্নতির দাবিতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় শ্রমিক কর্মচারীদের মানববন্ধন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :: পদোন্নতি প্রাপ্তিতে বৈষম্যের শিকার রেলওয়ে যান্ত্রিক বিভাগের শ্রমিক কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছে। দ্রুত পদোন্নতি ও শূণ্য পদে জনবল নিয়োগের দাবীতে সারাদেশের মত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাতেও ওই কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় কারখানার প্রধান ফটকের সামনে রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগের শ্রমিক কর্মচারী সমন্বয় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য বলেন, মো. একরাম উদ্দিন , মো. মমিনুল ইসলাম, মো. ইমরুল সিকদার, মো. খায়রুল বাশার , আখতারুল ইসলাম , পারভেজ রানা ও হামিদুর রহমান।
বক্তারা বলেন, নিয়োগবিধি অনুযায়ী ৩ বছর পর পর পদোন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও রেলওয়ের যান্ত্রিক বিভাগে কর্মরত বিভিন্ন পদের কর্মচারীদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা বলেন, শত শত পদ শূন্য থাকলেও এসব পদে পদায়ন না করে বিভিন্ন গ্রেডের কর্মচারীদের দিয়ে উচ্চপদের কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে। তাদের অভিযোগ পদ খালি না থাকলেও একই বিধি অনুয়ায়ী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে সকল সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ফলে একজন কর্মকর্তা ৩-৪ বার পদোন্নতি পেলেও একজন কর্মচারী একবারও পায়নি। এতে শত শত ফিটার পদধারী শ্রমিক কর্মচারীরা সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা বলেন, সম্প্রতি কিছু পদে পদোন্নতির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে বঞ্চিত করা হয়েছে ব্লাক স্মিথি, ক্রেন ড্রাইভার, পেটার্ন মেকার, উড মেকার, টিন স্মিথি, ফার্নিস ম্যান ও কোর মেকার পদে কর্মরতদের।
বক্তারা সকল পদে শতভাগ পদোন্নতি দাবি করে বলেন যাদের পদোন্নতি প্রাপ্তির মেয়াদ দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেছে তাদের আগে দিতে হবে। একই সাথে খালাসি পদের নাম পরিবর্তন করাসহ ভাতা প্রদানে যে বৈষম্য আছে তা দূর করতে হবে। সেইসাথে ১৯৮৫ ও ২০২০ সালের আত্মঘাতী নিয়োগবিধি বাতিল করতে হবে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে ১ মার্চ থেকে ৩ দিনের কর্মসুচি পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা, ২ মার্চ সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সাড়ে ১১ টা এবং ৩ মার্চ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি।
মানববন্ধনে কারখানার বিভিন্ন সপের (উপকারখানা) শতাধিক পদোন্নতি বঞ্চিত শ্রমিক কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। এর আগে একই দাবিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক’র (ডিএস) মাধ্যমে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে।
« আশাশুনিতে তিন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান (পূর্ববর্তী সংবাদ)
(পরবর্তী সংবাদ) কয়রায় দৈনিক যুগান্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন »
সম্পর্কিত সংবাদ
কয়রায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :: কয়রা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতিবিস্তারিত…
অল্প সময়ে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে দৈনিক কালবেলা
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ ফ্যাসিবাদদের রক্তচক্ষুকে চ্যালেঞ্জ করে কালবেলা অল্প সময়ে পাঠকের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠার পরবিস্তারিত…


