ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননা করার প্রতিবাদে বামজোটের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

খুলনা প্রতিনিধি :: সম্প্রতি ভারতের আগরতলা, কলকাতা ও বোম্বেতে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আক্রমণ ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগের আহŸান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যের প্রতিবাদে এবং দুই দেশের জনগণের ঐক্য ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি রক্ষার আহŸান জানিয়ে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা কমিটি। জোটের খুলনা জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাশের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ খুলনা জেলা আহŸায়ক জনার্দন দত্ত নান্টুর সঞ্চালনায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদ, মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সম্পাদক গাজী নওশের আলী, সম্পাদকমÐলীর সদস্য মোজাম্মেল হক খান, ডা. সমরেশ রায়, বাসদ জেলা সদস্য আব্দুল করিম, এ্যাড. সনজিত মন্ডল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিজেপি সরকার ও ভারতে অবস্থানকারী পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা শক্তি মিলে বাংলাদেশে একটা সা¤প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে, গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা রক্ষা করতে হবে। ভারতের এই পদক্ষেপগুলোর কারণে দুই দেশের দূরত্ব ও বিদ্বেষ বাড়ছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের মানুষের জীবন সংকটের মধ্যে পড়ছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সা¤প্রদায়িক মেরুকরণ সমাজকে বিষাক্ত করে তুলেছে। এই ঘটনায় সাধারণ জনগণের কোন লাভ নেই। এতে লাভবান হবে দুই দেশেরই সা¤প্রদায়িক শক্তিগুলো, ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। বক্তারা আরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের আমলেও দেশব্যাপী হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, জমি দখল, মন্দির ভাংচুর, এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। ভারতের মিডিয়া উদ্দেশ্যমূলক অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রচার করলেও গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পরও বিভিন্ন এলাকায় সা¤প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে তা সরকার অস্বীকার করতে পারবে না। সেখানে তিন ধরনের শক্তির ভ‚মিকা ছিল। একটা হচ্ছে সুযোগসন্ধানী শক্তি, যারা কোনকিছু ঘটলেই সেখান থেকে সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। আরেকটি হচ্ছে, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি, যারা গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে—এটা প্রমাণ করতে চায়। তারা এই ঘৃণ্য উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল। তৃতীয়ত, উগ্র সা¤প্রদায়িক শক্তি, যারা সুযোগ পেলেই এ ধরনের কর্মকাÐ ঘটায়। এদের বিরুদ্ধেও সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সাথে বাংলাদেশে ভারতের পতাকা অবমাননার যেসব ঘটনা ঘটছে, সেসব বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে ও পদক্ষেপ নিতে হবে। আদালতে বিচারপতিকে ডিম নিক্ষেপ, চিন্ময় দাসের আইনজীবীদের আদালতে যেতে না দেওয়ার ঘটনা উভয় দেশের সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠিকে উস্কানী হিসেবে কাজ করবে। এ বিষয়েও সরকারের পদক্ষেপ জরুরী। চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের পুরো বিষয় সরকারের দিক থেকে স্পষ্ট করতে হবে। সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের এলাকা, উপসনালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বক্তারা দেশের জনগণকে সজাগ থাকার ও কোনো সা¤প্রদায়িক উস্কানির ফাঁদে পা না দেয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভ‚মিকা রাখতে হবে। এই বিভেদ ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশের সবাইকে দাঁড়াতে হবে। ভারতসহ অন্যান্য দেশের সাথে চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং রামপালসহ জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে। সীমান্তে হত্যা বন্ধ, তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত সংগঠিত করতে হবে।

 

 

 

 



(পরবর্তী সংবাদ) »



সম্পর্কিত সংবাদ

  • আগের চেয়ে ভালো আছেন খালেদা জিয়া : ব্যক্তিগত চিকিৎসক
  • ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের কমিটি গঠন
  • জাতীয় পার্টির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা
  • ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ নতুনভাবে গড়ার দায়িত্ব সবার : মির্জা ফখরুল
  • সৈয়দপুরে বিআরইএল’র বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত 
  • নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের যুদ্ধ দাবি করায় জামায়াতের প্রতিবাদ
  • বিজয় দিবসে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন
  • জাময়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এর বিবৃতি