সমকামিতা নিয়ে বিশ্বকাপে রাজনীতি করা ঠিক হয়নি, জার্মান অধিনায়ক

নিউজ  ডেস্ক  ::  মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সমকামিতা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে কারণে কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি ছিল সমকামিদের ওপর। সে সময় যার বিরোধীতা করেছিল জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলো। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে সফল না হয়ে, বিশ্বকাপ চলাকালে মাঠেই এর প্রতিবাদ জানায় জার্মানি। এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর ‘বিশ্বকাপে রাজনীতি করা ঠিক হয়নি’ বলে স্বীকার করছেন বর্তমান অধিনায়ক জশুয়া কিমিখ। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে সমকামিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ফিফার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিবাদ জানায় জার্মানি।

হাত দিয়ে মুখ ঢেকে গ্রুপ ছবি তুলে পুরো দল। যা নিয়ে এবার কথা বলেছেন জার্মানির সেই দলের অংশ ও বর্তমান অধিনায়ক জশুয়া কিমিখ। তার মত, ‘সে সময়ে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ঠিক কাজ করিনি।’ বিশ্বকাপ চলাকালে ইউরোপের সাতটি দেশ পরিকল্পনা করেছিল ‘ওয়ানলাভ’ লেখা বাহুবন্ধনী পরে খেলতে নামার। তবে সেটি করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে তাদের এমন বর্তা দেওয়া হয় ফিফার পক্ষ থেকে। যার প্রেক্ষিতে জাপানের বিপক্ষে মুখ ঢেকে ছবি তুলে এর প্রতিবাদ জানায় জার্মানি। সে সময় যা নিয়ে কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন, ‘আমরা এটাই বোঝাতে চেয়েছি, ফিফা দলগুলোকে চুপ থাকতে বাধ্য করেছে।’
এ ঘটনার লম্বা সময় পর উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচের আগে জার্মানির অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়দের বিশেষ করে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে কিছু নির্দিষ্ট মূল্যবোধের পাশে দাঁড়ানো উচিত। তবে সব সময় রাজনৈতিক মতাদর্শের জানান দেওয়াটা আমাদের কাজ নয়।’কাতার বিশ্বকাপে প্রতিবাদ করা প্রসঙ্গে কিমিখ বলে, ‘কাতারের বিষয়টার কথাই ধরুন। দল ও দেশ হিসেবে আমরা খুব ভালো কোনো ছবি তুলে ধরতে পারিনি। আমরা রাজনৈতিক মতের প্রকাশ ঘটিয়েছিলাম, আর তাতে বিশ্বকাপের আমেজ একটু হলেও নষ্ট হয়েছিল।

আয়োজনের দিক থেকে তো অসাধারণ এক বিশ্বকাপ ছিল সেটি।’ বিশ্বের সব দেশ যে একই মত-পথে চলবে না, সেই উপলব্ধির কথাও বললেন কিমিখ, ‘পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে, আমাদের মতাদর্শই সঠিক ও সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। একটা দেশ হিসেবে আমরা মনে করি, আমাদেরও সমস্যা আছে, আর সেই দিকেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।’নিজেদের অতীতে কথাও মনে করিয়ে দিলেন কিমিখ, ‘অতীতে তো আমরা সবকিছু ঠিকঠাক করেনি।আপনি কিছু মূলবোধের পাশে থাকবেন সেটি স্বাভাবিক, তবে রাজনীতি সামলানোর মতো আলাদা লোক তো আমাদের আছেই, তারা এই বিষয়ে বিশেযজ্ঞও।

আমি কোনো রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নই।’ আগামী ২০৩৪ বিশ্বকাপ সৌদি আরবে হতে যাচ্ছে যা প্রায় নিশ্চিত।সেখানে জার্মানির অবস্থান কেমন হওয়া উচিত সেটাও জানিয়ে রেখেছেন কিমিখ। বলেন, ‘আমি আশা করছি ১০ বছর পর যেসব ছেলে খেলবে, বিশ্বকাপে তারা খেলাতেই মনোযোগ দেবে। যা–ই হোক না কেন, আমাদের দায়িত্ব তো দলে জায়গা পেলে নিজের সেরাটা দেওয়া। কারণ, ফলের ভিত্তিতেই হয় আমাদের মূল্যায়ন।’ উল্লেখ্য, নেশনস লিগের ম্যাচে শনিবার বসনিয়ার বিপক্ষে ও মঙ্গলবার হাঙ্গেরির বিপক্ষে মাঠে নামবে জার্মানি।

সূত্র :যুগান্তর



(পরবর্তী সংবাদ) »



সম্পর্কিত সংবাদ

  • ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হার বাংলাদেশের
  • না ফেরার দেশে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম অধিনায়ক
  • বেঙ্গল ইসলামি লাইফ ইন্সুরেন্সের উদ্যোগে আন্তগ্রাম ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে লবণগোলা ২-১ গোলে চ্যাম্পিয়ন 
  • আর্জেন্টিনার জার্সির বিজ্ঞাপনে আছে বাংলাদেশও
  • হাথুরুর ‘চড়’ নিয়ে কিছু বলতে চান না নাসুম
  • শেষ মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়
  • চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান কাইজ্জা শেষ পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পৌঁছাল
  • ২০ বছরের পর এবার ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা লংকান ক্রিকেটারের