বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়ি ঘর লুটপাট অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি :: পাইকগাছায় উপজেলা বিএনপি সভাপতি ডাঃ আব্দুল মজিদ, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির নাম ভাঙ্গিয়ে লতা ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর লুটপাট, চাঁদাবাজি ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টায় লতা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহীম গাজী সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির আদর্শ ধারণ করে বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছি। কপিলমুনি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমান কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও থানা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন-আহবায়কের দায়িত্বরত আছি। পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়ন হিন্দু অধ্যুষিত একটি ইউনিয়ন। বিএনপির প্রতিষ্ঠা হতে উক্ত ইউনিয়নে হিন্দুরাই বিএনপিকে উজ্জীবিত করে রেখেছিল।
প্রথম বিএনপির লতা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান কিরণ চন্দ্র বিশ্বাস এবং সম্পাদক ছিলেন মনোরঞ্জন রায়। মনোরঞ্জন লতা ইউনিয়ন ছেড়ে পাইকগাছায় আসলে আমাকে উক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন। যার অধিকাংশ ছিলেন, হিন্দু সস্প্রদায়ের ভাইয়েরা। কিন্তু বর্তমান কমিটিতে আবু মুছাকে সাধারণ সম্পাদক করায় হিন্দুদেরকে কমিটি থেকে বাদ রেখে মুছাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারা দীর্ঘদিন বিএনপির কমিটিভুক্ত ছিল, আপন ভাইকে একটি মামলার বাদী করে বিএনপির হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হলে লতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু মুছার নের্তৃত্বে বিনয় কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে হিরন্ময় মন্ডল, ঠাকুর দাসের ছেলে প্রশান্ত মন্ডল,ভোলানাথ মন্ডলের ছেলে সমীরণ
মন্ডলদের ইউনিয়নের শামুকপোতা বাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে এবং আরো বলেন আবু মুছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ আব্দুল মজিদকে মোবাইলে কথা বলিয়ে দেয়। এ সময় তিনি বলেন মুছা যা বলে তাই করো।
এ ছাড়াও একই ইউনিয়নে কাঁঠামারি বাজারে কিরণ ঘোষের ছেলে সমরেশ ঘোষ, শুকলালের ছেলে আনন্দ মোহন মন্ডল, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কালিদাস মাস্টারদের দোকানে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া অনেক হিন্দুকে আসামী করার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও বহিরাগত লীজ ঘের মালিকদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় অব্যহত রেখেছে। অনেকে তার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে বিএনপির মহাসচিব বরাবর আবেদন করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন। বর্তমানে মুছার অত্যাচারে যে হিন্দুরা একদিন বিএনপিকে উজ্জীবিত করে রেখেছিল তারা বর্তমানে আতংকিত হয়ে পড়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতিসহ আত্মগোপনে রয়েছে। আমি একজন বিএনপির নুন্যতম কর্মী হিসেবে মুছার অত্যাচারে তাদের পাশে যেয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আমার উপরেও মুহা বাহিনীর সন্ত্রাসী দ্বারা অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। উক্ত মুছা শুধু হিন্দুদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন করে ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না, সে বিএনপির পদধারী মাসুদ মোল্লা,শহিদ সানা, মনিরুল সরদার, তুহিন হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, জিয়ারুল গাজীসহ অনেকের উপর অত্যাচার-নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে।
অনেকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিবের মোবাই ধরিয়ে দেয়। এ সময় তিনি বলেন আবু মুছা যা বলে তাই শুনেন। বর্তমানে তারা বহিরাগত লীজ ঘের মালিকদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন বিএনপির কর্মী হয়ে তাদের পাশে দাড়াতে গেলে মুছা বাহিনীর অত্যাচারের স্বীকার হয়েছি। মুছা বাহিনীর অত্যাচার থেকে এলাকাবাসি রেহাই পেতে প্রশাসন সহ বিএনপির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
এসময় সংবাদ উপস্থিত ছিলেন মাসুদ মোল্লা, জিয়ারুল ইসলাম, আবু তুহিন হাওলাদার, ওমর ফারুক মিঠু, মনিরুল সরদার, আকতার সরদার, রুবেল মীর, সহিদ সানা প্রমুখ।
সম্পর্কিত সংবাদ
বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো’র কয়রা উপজেলা কমিটি অনুমোদন
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :: বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো’র খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা শাখা কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংগঠনেরবিস্তারিত…
কেশবপুরে হেফজ খানা ও এতিম খানার ১৩ নতুন হাফেজ কে পাগড়ি প্রদান
সোহেল পারভেজ, কেশবপুর প্রতিনিধি :: যশোরের কেশবপুরে বাহারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার হিফজখানা ও এতিমখানার আজীবনবিস্তারিত…