‘আ.লীগ অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছে
নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি নেতারা বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিচার দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন।
দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর যে গুম-খুন, অত্যাচার-নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘আপনি ক্ষমতায় এসেই সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন। হেফাজতের অনেক নিষ্পাপ বাচ্চা হাফেজদের হত্যা করেছেন। আয়নাঘর তৈরি করে বছরের পর বছর বিরোধী মতধারীদের অমানুষিক অত্যাচার করেছেন। দলীয় ক্যাডারদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন, এখন দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে।’
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর লুটপাট করে নাম দিচ্ছেন সাধারণ মানুষের। এই আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেদের গুলি করে আন্দোলন করে। তা দেশবাসী জানে। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই জড়িত। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সোনার ছেলেরা। তা সংখ্যালঘুরাই স্বীকার করেছে। বাংলাদেশের সব অপকর্মের জনক আওয়ামী লীগ। তাই এদের কাউকে রক্ষা করা যাবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
চট্টগ্রামে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো গণহত্যার বিচার দাবিতে গতকাল নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে বিগত দেড় যুগ আমরা ভয় এবং আতঙ্কের রাজত্বে ছিলাম। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো আওয়ামী লীগের চক্রান্ত থামেনি।’
এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার বিচার দাবিতে কাজির দেউড়ি থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর জিইসি মোড়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
সম্পর্কিত সংবাদ
ভালো সম্পর্ক ছাড়া বাংলাদেশ-ভারতের গত্যন্তর নেই: ডয়চে ভেলেকে ড. ইউনূস
ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়। কারণ, চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে।বিস্তারিত…
খালেদা জিয়াকে শিগগিরই বিদেশে পাঠাতে চায় মেডিকেল বোর্ড
নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দিনগত রাতবিস্তারিত…