বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪ দাবি

নিউজ  ডেস্ক  ::

অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তাদের নামে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

১/ আরইবি কর্তৃক সৃষ্ট অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ এবং সংযুক্ত দুইজনকে পদায়ন করা।

২/ গ্রাহকের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করা এবং স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা।
৩/ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা।
৪/ আরইবির দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা।

আলোচনার ও অহিংস কর্মসূচি মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ের সচেষ্ট ছিলাম। আগামীকাল রবিবারও প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর সমাধান করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে কর্মসূচি প্রত্যাহার করার পরেও আরইবি কর্তৃক সংস্থার চাকরিবিধির বাইরে গিয়ে কোনো প্রকার তদন্ত, কারণ দর্শানো বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হয়রানি করা দুঃখজনক।
বর্তমানেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে আমাদের অনেক কর্মকর্তারা স্টেশনে অবস্থান করতে পারছে না। এতে করে আবারও গ্রাহক ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূলত আরইবির স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা পবিস ১-এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার তামজিদুল ইসলাম বলেন, ১৭ তারিখে অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য আমরা গ্রাহকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে পরিস্থিতির পেছনের কারণ জনগণ এবং সাধারণ গ্রাহকদের অনুসন্ধান করার জন্য আমরা অনুরোধ করব।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আরইবি’র সরবরাহ করা নিম্নমানের মালামাল ও জনবল সংকটের কারণে বেশিরভাগ গ্রাহক হয়রানির শিকার হন। কিন্তু এর দায়ভার এসে পড়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করা সমিতির ওপর। অথচ ঝড়-বৃষ্টি অথবা যেকোনো দুর্যোগে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে মাঠ পর্যায়ের সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভূতুড়ে বিল, ত্রুটিপূর্ণ লাইন ব্যবস্থা সবই মূলত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতির কারণে ঘটে থাকে। অথচ এইসব নিয়ে কথা বলার কারণেই আমাদের আজ হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।





সম্পর্কিত সংবাদ

  • শুরু হচ্ছে আইডিয়া প্রকল্পের ন্যাশনাল ইউথ সামিট স্টার্টআপ গ্র্যান্ট প্রোগ্রাম
  • কিছুদিন পর দেখব খুনিরা বাইরে, বিপ্লবীরা জেলে : হাসনাত
  • এ মাসে শিলাসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
  • সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২৩ জনকে হত্যার দাবি প্রত্যাখ্যান
  • বইমেলায় হাসিনার ছবিযুক্ত ডাস্টবিন, ময়লা ফেললেন প্রেস সচিব
  • বর্ণিল আয়োজনে যুগান্তরের রজতজয়ন্তী পালিত
  • আটকের পর যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার
  • জুলাই গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে শিবির