বাড়িতেই বস্তায় বস্তায় টাকা রাখতেন আমু

নিউজ ডেস্ক :: বেপরোয়া অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গত ১৬ বছর ধরে শত শত কোটি টাকা আয় করলেও দেশে সাবেক এমপি আমির হোসেন আমু তেমন কোনো সম্পদের সন্ধান মেলেনি।
ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর তেমন একটি ভরসা ছিল না তার। বস্তায় বস্তায় টাকা তিনি রাখতেন বাড়িতে। যার প্রমাণ মেলে গত ৫ আগস্ট।
অর্থবিত্তে ঠিক কতটা ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন সাবেক এমপি আমির হোসেন আমু তা জানা সম্ভব না হলেও তার সঙ্গে থাকা ছোট নেতারাও বনে গেছেন কোটিপতি। ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত দোর্দণ্ড প্রতাপে ঝালকাঠি শাসন করা এই আওয়ামী লীগ নেতার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানে না কেউ।
তার বিত্তের ভান্ডার দেখাশোনা করা ফখরুল মজিদ কিরনও আত্মগোপনে। সম্পর্কে ভায়রা এই কিরনের মাধ্যমেই ঠিকাদারি আর চাকরিসহ সব সেক্টর থেকে পার্সেন্টেজ আদায় করতেন আমু।
যার সর্বশেষ চালানের পাঁচ কোটি টাকা ৫ আগস্ট রাতে উদ্ধার হয় ঝালকাঠি শহরের রোনালস রোডে থাকা সাবেক এই মন্ত্রীর বাসভবন থেকে। ওই ঘটনায় সেফ্র একটি সাধারণ ডায়রি করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৩৫ দিনেও।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমুর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস কখনোই পায়নি কেউ। মৃদু প্রতিবাদেও ধ্বংস হয়ে যেত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
কেবল আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি নেতারাও ভয়ে কখনো কথা বলত না তার বিরুদ্ধে। যেন সবার কাছেই জ্যান্ত আতঙ্ক ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক এই নেতা। হাসিনা সরকারের পতনের পর ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতাদের করা প্রথম তিনটি মামলায় আসামি করা হয়নি তাকে।
বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলে ২ সেপ্টেম্বর দায়ের হওয়া সর্বশেষ মামলায় অনেকটা দায়সারাভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় তার নাম। তাও সেই মামলার বাদী হননি বিএনপির দায়িত্বশীল কেউ।
সূত্র: যুগন্তর
সম্পর্কিত সংবাদ

আওয়ামী আমলে জামায়াতের ঘাড়ে জুলুমের পর্বত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল:ডা.শফিকুর রহমান
নিউজ ডেস্ক :: বিগত সময়ে (আওয়ামী লীগ সরকার) জামায়াতে ইসলামীর ঘাড়ে জুলুমের পর্বত চাপিয়ে দেওয়াবিস্তারিত…

নেতৃত্ব সঙ্কটে আওয়ামী লীগ, ভেঙে যেতে পারে দল
আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে ভাবমূর্তি ও নেতৃত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি। এ অবস্থায় শেখ হাসিনা ছাড়াবিস্তারিত…