কাছে এসে আমজাদের চোখে-মুখে গুলি করে পুলিশ
নিউজ ডেস্ক ::ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে যাচ্ছেন সে সময়ে তুমুল সংঘর্ষ চলছিল রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে। দুপরের পর পুলিশের গুলিতে আহত হন নোয়াখালীর যুবক আমজাদ।
পুলিশের গুলিতে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন পঙ্গু হাসাপাতালে।আমজাদ বলেন, ‘সেদিন দুপুরের পর যাত্রাবাড়ির ছাদ থেকে গুলি করে। আমার পায়ে গুলি লাগার পর মাটিতে পড়ে যাই। তখন সবাই পালায় যায়।
এই সময় দুইটা পুলিশ আমার কাছে আসে। আমি অনেক কষ্টে হাত তুলে গুলি না করতে অনুরোধ করি। কিন্তু দশ হাত দূর থেকে ওরা আমার চোখ এবং পিঠে ছররা গুলি মারে।’ছররা গুলি চোখে লাগার কিছুক্ষণ পর থেকেই আমজাদ চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করেন।
একপর্যায়ে সব অন্ধকার হয়ে আসে তার চোখে। হারিয়ে ফেলেন চোখের আলো। তিনি বলেন, ‘আর কিছু দেখতে পারছিলাম না। দাঁতে হাত দিয়ে দেখি, গুলিতে দুইটা দাঁত ভেঙ্গে গেছে। রক্ত বের হচ্ছে মুখ দিয়ে।’ আমজাদ এরপর ভর্তি হন হাসপাতালে।
নোয়াখালি, চট্টগ্রাম হয়ে তার স্থান হয় ঢাকার চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। সরকারি খরচে চলে চিকিৎসা।আমজাদ বলেন, ‘ডান চোখ থেকে ৫টা গুলি বের করছে। আর বাম চোখ থেকে ৪টা বের করলেও এখনও একটা গুলি রয়েই গেছে। কিন্তু আমি দেখতে পারছি না। আমার আম্মাকে দেখতে ইচ্ছা করে।
কিন্তু কাউকেই দেখতে পারি না। শুধু তাদের কণ্ঠ শুনে অনুভব করেত পারি। কখন রাত হয়, কখন দিন হয় কিছু বুঝতে পারি না। সব অন্ধকার।’ আমজাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখনও ছররা গুলির অংশবিশেষ আটকে আছে। তবে এতো কিছুর মধ্যেও ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ নন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এখনতো আমার অবস্থা খারাপ। আমার দুই ভাই বড়। কিন্তু তাদের সংসার আছে। আমার ছোটভাই আর মা’কে নিয়ে আমি এখন কীভাবে চলবো।
জানি না ভবিষ্যতে আমার কী হবে!’ বাংলাদেশে জুলাই এবং আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও এর পরে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ছয়শোরও বেশি বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আহতের সংখ্যা কয়েকহাজার।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।
সম্পর্কিত সংবাদ
বৈষম্যহীন দেশ গড়তে জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে : ডা. শফিকুর রহমান
নিউজ ডেস্ক :: বৈষম্যহীন দেশ গড়তে জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীরবিস্তারিত…
সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়ব ইনশাআল্লাহ
নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মাগুরাবাসীর সমর্থন চেয়ে বলেছেন, আমাদেরবিস্তারিত…