বেঁচে আছেন একই পরিবারের ৬ সদস্য পানি-মুড়ি খেয়ে

নিউজ ডেস্ক :: উজানের ঢলে মুহুরী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। উপজেলার দুর্গত এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে আমিরবাদ ইউনিয়নের মানুমিয়ার বাজার এলাকা। এলাকার কোথাও পাঁচ ফুট, কোথাও সাত ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর বাড়ি সব তলিয়ে গেছে।

ওই এলাকার আহছান উল্ল্যার ছেলে কাঠমিস্ত্রি দেলোয়ার হোসেনের সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে। জীবন বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী বাড়ির দোলাতায় পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গত চার দিন ধরে সেখানে অবস্থান করছে তারা। পাননি সরকারি-বেসরকারি ত্রান সহায়তা, খোঁজ খবর নিতে যায়নি কেউ।

এক বেলা ভাত জুটলেও বাকি সময় পানি ও মুড়ি খেয়ে জীবন পার করেছে তারা। কোনো উপায় না থাকায় নয় কিলোমিটার জলমগ্ন পথ পাড়ি দিয়ে ত্রাণের জন্য আসেন উপজেলা চত্তরে।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সবাই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মূল সড়কের পাশে বিতরণ করছে। যে এলাকা পানিতে তলিয়ে রয়েছে সেখানে কেউ যায়নি। গত চার দিন ধরে আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাশের বাড়ির দোতলায় অবস্থান করছি। শুধু আমি আমি না, আমাদের সাথে আরো ১৮ পরিবার অবস্থান করছে। বাড়ির মালিক প্রথম দিন আমাদের খাইয়েছে, পরে আমাদের খাওয়ানোর মতো তাদের কাছে কিছুই ছিল না। এতদিন পানি ও মুড়ি খেয়ে জীবন পার করেছি। এখন কিছু খাবারের আশায় অনেক কষ্টে এখানে ছুটে এসেছি, এখানেও কাউকে পায়নি।

তিনি আরও বলেন, বন্যার পানিতে সবকিছু ভেসে গেছে, পানি আস্তে আস্তে নামতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় প্রশাসন ও বিত্তবানদের সহযোগীতা না পেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মৃত্যু ছাড়া উপায় থাকবে না।






সম্পর্কিত সংবাদ

  • ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরানোর অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার
  • তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি
  • প্রধান উপদেষ্টা ফেসবুকের সহায়তা চাইলেন বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে
  • ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপির তিন সংগঠনের স্মারকলিপি
  • দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : জামায়াত আমির
  • ধর্ম ও মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য : প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয় : জামায়াতের আমির
  • নেতাকর্মীদের যে আহ্বান জানালেন তারেক রহমান