শিবির নেতাসহ ৭ জনকে হত্যার অভিযোগ সাতক্ষীরায় দুই সাবেক পুলিশ সুপারসহ ২৮ জনের নামে মামলা

নিউজ ডেস্ক ::  সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ ৭ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান ও সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে নিহত আমিনুর রহমানের ভাই সিরাজুল ইসলাম (৫৪) বাদী হয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ও সম্প্রতি সাতক্ষীরা থেকে বদলি হওয়া সাবেক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইনামুল হকসহ চারজন উপপরিদর্শক, একজন সহকারী উপপরিদর্শক, ছয়জন কনস্টেবল, গোয়েন্দা পুলিশের তিনজন উপপরিদর্শক, আটজন কনস্টেবল ও পৌরসভার কামাননগরের আওয়ামী লীগের নেতা ইনামুল হক, ইমামুল ইসলাম রনি ও ইউসুফ সুলতান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে শহরের কামাননগর কবরস্থানের পাশে মুকুল হোসেনের বাড়িতে একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন আমিনুর রহমান। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। ছাত্রাবাসে ঢুকে পুলিশ ছাত্রাবাসের আটজন সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে।

সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কাশেম ছাত্রাবাসে থাকা আমিনুর রহমানের পিঠের বাম দিকে গুলি করেন। আমিনুর মেঝেতে পড়ে গেলে তার পায়েও গুলি করা হয়। একপর্যায়ে অধিক রক্তক্ষরণে আমিনুর মারা যায়। একই সময়ে পুলিশের গুলিতে মারা যায় মেসের আরও ৬ জন। ওই সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হয়নি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবী তোজাম হোসেন বলেন, সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, আমিনুর রহমানসহ ৩৬ জন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। যেটা আইনের ভাষায় বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড। চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সম্প্রতি বদলি হওয়া আরেক পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানসহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।






সম্পর্কিত সংবাদ

  • নলতা হাই স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সোসাইটি’র কমিটি গঠন
  • শ্রীরামপুর যুববিভাগের আয়োজনে ৪ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন।
  • ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
  • পায়ে হেঁটে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ঘুরে গেলেন ৫ রোভার স্কাউট
  • অসুস্থ আব্দুস সেলিমকে দেখতে বাড়িতে গেলেন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ 
  • সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে মেয়েদের ৩৬ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী
  • চলমান শীত মৌসুমে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে দুর্গত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আল আমিন ট্রাষ্টের উদ্যোগে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠান