ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়তে চাই : তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না। আমরা সবাই একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই, যেখানে গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে, নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারিত্ব।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লেকশো’র এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ঘোষিত ‘৩১-দফা’ নিয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থাপনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ডা. আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যদলের মধ্যে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক এনজিপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

এছাড়া নরওয়ে রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তান হাইকমিশনারসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘ, ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি আরবসহ ৩৮ দেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও স্বেচ্ছাচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি লেভেলে নিশ্চিত করা হবে কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে না, কেউ আইনের ঊর্ধে না। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে, আমরা দল-মত নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে চাই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন মানে কেবল একটি দল থেকে অন্য দলের কাছে রাষ্ট্রের ক্ষমতা হস্তান্তর নয়। বরং ক্ষমতার পালাবদলে এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা হওয়া উচিত, যেখানে সমাজের পরিবর্তিত অবস্থা ও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন দেখা যায়।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কেবল ক্ষমতায়ন নয়। বরং রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন এবং জনগণের অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশও এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজকে আমরা যারা এখানে সমবেত হয়েছি, দেশে-বিদেশে আমরা যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে সবসময় ভাবি; আমাদের গড়ে তুলতে হবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদার ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে বহু দূরে। এই অগ্রযাত্রার গতি হতে হবে দ্রুত তবে স্থির। লক্ষ্য হতে হবে সুনির্দিষ্ট।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা শারমিন পুতুল।

আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক ডক্টর বোরহান উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট এলিনা খান, ইসমাইল জবিউল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়েতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এনডিএম’র চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।






সম্পর্কিত সংবাদ

  • ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরানোর অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার
  • তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি
  • প্রধান উপদেষ্টা ফেসবুকের সহায়তা চাইলেন বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার বন্ধে
  • ভারতীয় হাইকমিশনে বিএনপির তিন সংগঠনের স্মারকলিপি
  • দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : জামায়াত আমির
  • ধর্ম ও মতের পার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য : প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয় : জামায়াতের আমির
  • নেতাকর্মীদের যে আহ্বান জানালেন তারেক রহমান