যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ফলাফলের অপেক্ষায় পুরো বিশ্ব
দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক মহারণ। এদিন দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। দেশটির ছয়টি টাইম জোনের কারণে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ আর শেষও হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার পাশাপাশি কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সব এবং উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের ৩৪টিতেও ভোটগ্রহণ হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবারের মধ্যেই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল জানা যাবে। তবে ঝামেলা হলে চূড়ান্ত ফল জানতে কয়েক দিন লাগতে পারে। আর তখনই জানা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন।
এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস, রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প, গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবার্টারিয়ান পার্টির চেজ অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কর্নেল ওয়েস্ট ও রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। তবে নির্বাচনে আলোচনার মূল কেন্দ্রে রয়েছেন বড় দুই দলের প্রার্থী কমলা ও ট্রাম্প। ঐতিহ্যগতভাবে তারাই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। কমলার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে লড়ছেন টিম ওয়ালজ আর ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স।
আগামী চার বছরের জন্য হোয়াইট হাউজ নিজের করে নিতে কম প্রচার চালাননি এসব প্রার্থী। শুরুতে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৮১ বছর বয়সী জো বাইডেন। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে খারাপ করার পর বয়সজনিত কারণে দলীয় চাপে তাকে সরে দাঁড়াতে হয়। গত জুলাইয়ে তার স্থানে আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নানা জরিপের ফল বলছে, দুজনের লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। আর তাদের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারিত হবে দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য। তাই শেষ মুহূর্তে দুজন চষে বেড়িয়েছেন এসব অঙ্গরাজ্য।
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটার সংখ্যা ২৪ কোটি ৪০ লাখ। দেশটিতে গতকাল মূল নির্বাচন হলেও আগাম ভোট শুরু হয়েছে আগেই। প্রায় সাড়ে সাত কোটির বেশি ভোটার ইতিমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার আগাম ভোট দিয়েছেন। গত রবিবার ডাকযোগে আগাম ভোট দিয়েছেন কমলা হ্যারিসও। তবে ট্রাম্প ভোট দিয়েছেন গতকাল ফ্লোরিডার পামবিচ কেন্দ্রে।
সময়ের ভিন্নতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একেক এলাকায় ভোটকেন্দ্রগুলো খোলে একেক সময়ে। সবার আগে ভোগগ্রহণ হয়েছে পূর্বের নিউ হ্যাম্পশায়ার, কানেটিকাট, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মেইন, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক ও ভার্জিনিয়ায়। এরপর ওহাইও, উত্তর ক্যারোলিনা, পশ্চিম ভার্জিনিয়া ও ভার্মন্টে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় আলাবামা, ডেলাওয়ার, ওয়াশিংটন ডিসি, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, কানসাস, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, মিশিগান, মিসৌরি, পেনসিলভানিয়া, রোড আইল্যান্ড, সাউথ ক্যারোলিনা ও টেনিসিসে। আর সকাল ৮টায় শুরু হয় অ্যারিজোনা, আইওয়া, লুইজিয়ানা, মিনেসোটা, সাউথ ডাকোটা, নর্থ ডাকোটা, ওকলাহোমা, টেক্সাস, উইসকনসিনে। বাংলাদেশ সময় গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত পূর্বের রাজ্যগুলোর ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর মধ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের উত্তরে অবস্থিত ছোট্ট শহর ডিক্সভিল নচে কেন্দ্রের ভোটগণনাও শেষ হয়। ফলাফলে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প তিনটি করে ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ, প্রথম ফলাফলে কমলা ও ট্রাম্পের লড়াইটা সমানে সমান।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে জো বাইডেন ক্ষমতায় বসার সময় চলছিল করোনা মহামারী। তখন মহামারী পরিস্থিতি শক্ত হাতে সামলেছিল বাইডেন প্রশাসন। তবে এই করোনাই পরে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। মার্কিন অর্থনীতিতে চাপ আসায় বেড়ে যায় দ্রব্যমূল্য, দেখা দেয় কর্মসংস্থানের অভাব। অভিবাসীদের নিয়েও শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেননি বাইডেন। এসবের জেরে তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। মূলত এসব কারণেই বাইডেন ক্ষমতায় আসার কিছু সময় পর থেকে ডেমোক্র্যাটদের দীর্ঘদিনের আধিপত্য কমতে থাকে।
এবারের নির্বাচনী প্রচারে নামার পর ট্রাম্পকে দুবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এটিও তার জনপ্রিয়তা কিছুটা বাড়াতে সহায়তা করেছে। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, নানা ফৌজদারি মামলা ঘাড়ে নিয়ে চলা ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলেও সে কৃতিত্ব তার নিজের হবে না। বাইডেন প্রশাসনের প্রতি মানুষের অসন্তোষই তার জয়ের পেছনে কাজ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৪৩টিতে কমলা নাকি ট্রাম্প কে জিতবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত। সমস্যা দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাডা, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলিনা, মিশিগান ও জর্জিয়াকে নিয়ে। এই সাত অঙ্গরাজ্যের ফল কমলা-ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে। গতকাল নিউ ইয়র্ক টাইমসের জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশ জুড়ে ৪৯ শতাংশ মানুষ কমলা ও ৪৮ শতাংশ ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এ ছাড়া দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প ১ শতাংশ, অ্যারিজোনায় ৪ শতাংশ, নেভাডায় ১ শতাংশ, নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ায় ১ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। কমলা উইসকনসিনে ১ শতাংশ ও মিশিগানে ১ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।
অবশ্য বিভিন্ন জনমত জরিপে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আভাস পাওয়া গেছে। সাধারণ ভোটারদের মতো রাজনীতি বিশ্লেষকরা ইতিমধ্যে তাদের মতামত দিয়েছেন। দেশটির নির্বাচনসংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়া শীর্ষস্থানীয় দুই ব্যক্তি অ্যালান লিচম্যান ও নেট সিলভারের ভবিষ্যদ্বাণীতে জয়ী বলা হয়েছে দুজনকেই। অধ্যাপক লিচম্যান অতীতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনগুলোতে ১০টি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যার মধ্যে ৯টিই যথাযথভাবে দিতে পেরেছিলেন। এবারের নির্বাচন সামনে রেখে তিনি আভাস দিয়েছেন, কমলাই জয়ী হতে যাচ্ছেন।
তবে পরিসংখ্যানবিদ ও জরিপ বিশেষজ্ঞ সিলভার তা মনে করেন না। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে তিনি লিখেছেন, এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছে। তবে তার মন বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই জিতে যাবেন।
অবশ্য প্রধান দুই প্রার্থী কমলা ও ট্রাম্প সোমবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ভোটারদের মন জয় করতে। প্রচারে কমলা ও ট্রাম্প বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অবস্থানের নিরিখে ভোটারদের সমর্থন কুড়িয়েছেন। মূল্যস্ফীতি, কর, গর্ভপাত, অভিবাসন, পররাষ্ট্রনীতি ও বাণিজ্য ইস্যুতে দুই প্রার্থী ভিন্ন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছেন। কমলা বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে প্রথম দিন থেকেই তার অগ্রাধিকার হবে শ্রমজীবী পরিবারের জন্য খাবার ও বাসস্থান খরচ কমানো। নিত্যপণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম নির্ধারণের প্রবণতা বন্ধ করা এবং প্রথমবার বাড়ি কেনায় সহায়তা ও আবাসন খাতে প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছেন, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সবকিছু মানুষের ক্রয় সামর্থ্যরে মধ্যে আনার। অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠালে আবাসনের ওপর চাপ কমবে বলে মনে করেন তিনি। আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চহারে কর আরোপেরও আভাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
অন্যদিকে, করের ক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা আমেরিকানদের ওপর কর বাড়াতে চান কমলা। যদিও কোনো কোনো পরিবারের করের বোঝা লাঘব করতে, সন্তানের বিপরীতে কর ছাড়ের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলেছেন তিনি।
ট্রাম্পও বিপুল পরিমাণ করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছেন। তবে সেটি তার ২০১৭ সালের কর কমানোর নীতিরই আরেক রূপ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধনীদের জন্যই সহায়ক ছিল। কমলা গর্ভপাতের অধিকার তার প্রচারের কেন্দ্রে রেখেছিলেন। সারা দেশের নারীদের জন্য প্রজনন অধিকার সুরক্ষা আইনের পক্ষে তিনি কথা বলেছেন।
ট্রাম্প গর্ভপাত বিষয়ে বলেছেন, নারীদের যাতে গর্ভপাতের কথা ভাবতে না হয়, সেটি তিনি নিশ্চিত করবেন। তবে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের সময়ে নিয়োগ দেওয়া তিন বিচারকের হাতেই যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়েছিল। সে কারণে গর্ভপাত ইস্যুতে নারীদের মন জয় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাম্পকে।
কমলা পেনসিলভানিয়া রাজ্যে তার শেষ প্রচার সমাবেশে একতার শক্তি ও নারী অধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা যখন লড়ি, আমরা জিতি। সমাবেশে উপস্থিত জনতাকেও সমস্বরে তার এ কথার সঙ্গে গলা মেলানোর ডাক দেন কমলা। জনতার সামনে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমরা কি আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি? আপনারা কি এর জন্য লড়তে প্রস্তুত? কারণ, আমরা যখন লড়ি, তখন আমরা জয়ী হই। ভাষণে কমলা বলেন, পরাজিত অবস্থা থেকে আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম। কিন্তু জয়ের আসনে পৌঁছাব। আমাদের এই জীবনকালে গুরুত্বপূর্ণ ভোটের দিনের মুহূর্তটি আমাদের অনুকূলেই আছে। এ নির্বাচন হতে পারে ইতিহাসে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।
অন্যদিকে শেষ দিনের প্রচারের ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কমলা হ্যারিস নয়, অশুভ ডেমোক্র্যাট ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়ছেন। মিশিগানে শেষ প্রচার সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, আমরা ওয়াশিংটনে এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে পরাজিত করব। কারণ, আমি কমলার বিরুদ্ধে লড়ছি না। অশুভ ডেমোক্র্যাট সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়ছি। এরা দুষ্টলোক। এ যাত্রা অবিশ্বাস্য হবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এ যাত্রা হবে দুঃখেরও। কারণ, এটাই হবে শেষবার। মঙ্গলবারের নির্বাচনে না জিতলে আগামীতে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। মিশিগনে শেষ দিনের প্রচারে তিনি তাই বলেছেন, এটিই তার শেষ প্রচার। বলেন, সুসংবাদ আছে। আমরা যা কিছু করছি তা আমাদের জয় পাওয়ার অবস্থানেই নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল বোমা মারার হুমকি দিয়ে জর্জিয়া রাজ্যে নিকোলাস উইমবিশ নামে এক নির্বাচনকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের ওপর বোমা হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ২৫ বছরের জেল হতে পারে।
এদিকে বরাবরের মতো এ বছরও নির্বাচন ঘিরে রয়েছে হামলা, সহিংসতা ও ষড়যন্ত্রের উদ্বেগ। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনী অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে থাকা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসকে ভোট দেবেন মার্কিনিরা। তাদের উদ্বেগ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা গতকাল রয়টার্সকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়ার, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলিনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন ও ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাডা, ওরেগন, পেনসিলভানিয়া, টেনেসি, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল গার্ডের সেনা যেকোনো মুহূর্তে মোতায়েনের জন্য ‘স্ট্যান্ড বাই’ অবস্থায় রাখা হয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ বুধবারের মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল জানা যাবে। ভোটাররা মূলত ইলেকটোরাল কলেজ নির্বাচিত করবেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর তাদের ভোটে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। দেশটির মোট ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ভোট পেতে হয়। এই ভোট আবার ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে গণনা করা হবে। সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে পাকাপাকিভাবে হোয়াইট হাউজে বসবেন তিনি।
সম্পর্কিত সংবাদ
সিরিয়ার দামেস্কে আসাদের বাসভবন থেকে যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন
নিউজ ডেস্ক :: বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ। এরবিস্তারিত…
উত্থান-পতনেও আমাদের সম্পর্ক টিকে আছে : ভারতের হাইকমিশনার
নিউজ ডেস্ক :: পারস্পরিক নির্ভরতার বাস্তবতা এবং পারস্পরিক সুবিধা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবেবিস্তারিত…