এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এর আগে ট্রেনিংয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের মধ্যে ২৫০ প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) তারেক বিন রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। গতকাল স্থানীয় থানাগুলোতে ডেকে তাদের হাতে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল মাসুদূর রহমান ভুইয়া।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত উপপরিদর্শক (এসআই) ব্যাচের ২৫০ জনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে ১ অক্টোবর সকাল ৭টা ২৫ মিনিট থেকে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ-২০২৩ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহী কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সব প্রশিক্ষণার্থীর প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়।
কিন্তু আপনি ওই সরবরাহকৃত নাশতা না খেয়ে হইচই করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। আপনি অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয়প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। এ ছাড়া আপনি অন্যদের সঙ্গে হইচই করতে করতে নিজের খেয়ালখুশিমতো প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলাপরিপন্থি।
আপনার এরূপ আচরণ মাঠের সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে এবং অন্য প্রশিক্ষণার্থীদের শৃঙ্খলাভঙ্গে উৎসাহিত করেছে মর্মে আপনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে পুলিশ পরিদর্শক মহসিন আলী (বিপি- ৬৯/৮৭০০১৫২০) বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ওই অভিযোগের কারণে একাডেমির অধ্যক্ষের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) তিন দিনের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেন।
আপনি নির্ধারিত তিন দিন সময়ের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করেন। আপনার দাখিলকৃত কৈফিয়তের জবাব পর্যালোচনান্তে সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। আপনার উপরোক্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব-ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ৮২৩ ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর।
সূত্র :কালবেলা নিউজ
সম্পর্কিত সংবাদ
আওয়ামী লীগ আমলে পাচার ২৮ লাখ কোটি টাকা
নিউজ ডেস্ক :: দেশ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারবিস্তারিত…
দেশজুড়ে অপুষ্টি প্রতিরোধে সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে আইএসডি’র অংশীদারিত্ব
নিউজ ডেস্ক :: সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভিটামিন ও খনিজের অভাব থেকে উত্তরণে সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদারিত্ববিস্তারিত…