আরও একবছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

নিউজ  ডেস্ক  ::

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে । সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও একবছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। তারা বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

এছাড়া বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে।ফলে বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।প্রতিবেদনে বয়াল হয়, দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে ৯ শতাংশে নেমে আসবে।

তবে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা, রাজনৈতিক বিক্ষোভের অনিশ্চিত প্রভাব ও সরকারের চলমান পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না। অর্থনীতির মাত্র চার শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি। সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে।

কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মের বাজোরে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে গ্যাপ রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মিস ম্যাচ আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতায় বাজারে খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে সবজির দাম যখন আকাশছোঁয়া, ঠিক তখন বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস সামনে এলো।সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য অনলাইনে ওয়াশিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

সূত্র :দেশ রূপান্তর নিউজ





সম্পর্কিত সংবাদ

  • ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি  
  • ভারত থেকে আমদানি চালের প্রথম চালান আসবে কাল
  • ভারত থেকে আবারও ট্রেনে ১৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
  • টেকনোলজি লিডারশিপে সি-সুইট অ্যাওয়ার্ড পেলেন বিএটি বাংলাদেশের সারজিল সারওয়ার
  • বাংলাদেশকে আরো ১০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেব এডিবি
  • ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের আন্তর্জাতিক মঞ্চে অসামান্য সাফল্য অর্জন
  • সীমান্ত বন্ধ হলে বড় ক্ষতি ভারতের, ঝুঁকিতে লাখো মানুষের জীবিকা
  • ই-সিগারেট  নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি