এনডিটিভিকে শশী থারুর

বাংলাদেশে মুসলিমরা হিন্দুদের বাড়ি-মন্দির রক্ষা করছেন

নিউজ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

এমন পরিস্থিতি হিন্দুদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় রক্ষা করতে দেশের সাধারণ মানুষ এগিয়ে এসেছেন। তারা রাত জেগে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও লোকসভা সদস্য শশী থারুর বলেছেন, ‘দুয়েকটা ঘটনা যে ঘটছে না তা নয়। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও দেখতে হবে, দাঙ্গার মধ্যেই বাংলাদেশের মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দির রক্ষা করছেন। এমন খবর আমরা পড়ছি।’ গত শনিবার ভারতীয় টেলিভিশন স্টেশন এনডিটিভির এক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ঠিক কাজটিই করেছে বলেও মন্তব্য করেন এই কংগ্রেস নেতা।

শশী থারুর বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকেই আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি। নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আমরা সম্পর্ক বজায় রেখেছি। এমনকি যে সরকারই এসেছে, তাদের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল। দেশটির সরকার যখন কথা বলেছে, আমরা সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছি।’

শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া না হলে দেশটির জন্য তা লজ্জাজনক হতো বলে মনে করেন লোকসভার এ সদস্য। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বর্তমান সরকার ও বিরোধী দলের সব ভারতীয় নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার সুসম্পর্ক ছিল, তিনি ভারতের বন্ধু এবং ভারত তার বন্ধু। যখন কোনো বন্ধু সমস্যায় পড়ে তখন আপনি তাদের সাহায্য করার জন্য দুবার ভাববেন না। আপনি বন্ধুকে উদ্ধার করবেন, নিরাপত্তা দেবেন। ভারত ঠিক এটিই করেছে এবং এটি করার জন্য আমি সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কংগ্রেসের এ নেতা বলেন, ‘আমার যতদূর মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সবাই চেনেন। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, অন্য ভারতীয় নেতারাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাকে দেখেছেন। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি।’

ড. ইউনূস কিছুটা ওয়াশিংটনপন্থি উল্লেখ করে শশী থারুর বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে তিনি জামায়াতে ইসলামী বা পাকিস্তানি আইএসআই নয়, কিছুটা ওয়াশিংটনপন্থি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা কেউ পরিচিত নন। কিন্তু মনে হচ্ছে না তারা কেউই ভারতের জন্য উদ্বেগের। তবে বড় উদ্বেগের বিষয়, পাকিস্তান ও চীন ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে কি না।’



« (পূর্ববর্তী সংবাদ)



সম্পর্কিত সংবাদ

  • বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী
  • গাজায় যা ঘটছে তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য: জাতিসংঘ মহাসচিব
  • লাদাখে দিল্লির সমপরিমাণ জায়গা দখল করেছে চীন
  • মধ্যপ্রাচ্যে পৌঁছেছে মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন
  • কমলার বাক্যবাণে খেই হারালেন ট্রাম্প
  • শেখ হাসিনার পতন নিয়ে আবারও প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র
  • ২৫ ভাগ বেতন বাড়াবে বোয়িং
  • ইমরান খানের দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার