মোহাম্মদপুরে জামায়াতের অগ্রসর কর্মীদের শিক্ষা বৈঠক
৫ আগস্টের বিপ্লবকে অর্থবহ ও টেকসই করতে ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের জনশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর গার্ডেনশীপ রেস্টুরেন্টে মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত অগ্রসর কর্মীদের নিয়ে শিক্ষা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মাসুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেলের পরিচালনায় শিক্ষা বৈঠকে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ডা. শফিউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জোন টিম সদস্য আব্দুল ওয়াজেদ কিরন, থানা তারবিয়াত সেক্রেটারি নূর আলম সিদ্দিকী, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইবাদত হোসেন, রুহুল আমিন, সাইফুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মারুফ বিল্লাহ, তাইয়্যেবুর রহমান, শাহাবুদ্দিন মিজান ও আলী আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।
মোবারক হোসাইন বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথ অতীতে ফুল বিছানো ছিলো না; এখনো নয়। যুগে যুগে যারাই মানুষের মাঝে দ্বীনে হক্বের দাওয়াত দিয়েছেন তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে নবী-রাসূলগণও রেহাই পাননি বরং তাদেরকে নানাবিধ ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। বিশ্বনবী (সা.)ও এ থেকে আলাদা ছিলেন না বরং তাদের কাফিরদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাকে জন্মভূমি ছেড়ে মদীনায় হিজরত করতে হয়েছিলো। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ময়াদানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে যেকোন ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে সকলের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী ফ্যাসীবাদের পতন হলেও আমাদের পরিপূর্ণ বিজয় এখনো আসেনি বরং বিজয়ের পথচলা সবে শুরু হয়েছে। আওয়ামী মাফিয়াতন্ত্রীরা রাষ্ট্রের সকল সেক্টরকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। একই সাথে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। সর্বোপরি আগামী সংসদকে প্রতিনিধিত্বশীল করার জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রচলন জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল প্রকার চাপ ও ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহবান জানান।
সম্পর্কিত সংবাদ
সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার : প্রেস সচিব
অনলাইন ডেস্ক :: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশকেবিস্তারিত…
আমাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকুন: জামায়াত–এনসিপিকে ড. ইউনূস
ডেস্ক নিউজ :: আগামী সাধারণ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করতেবিস্তারিত…


