সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলা’র মাঠে গাছ কর্তনের সময় হাতেনাতে ধরেও অজ্ঞাতনামা

সোহেল পারভেজ, কেশবপুর প্রতিনিধি :: মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম ভূমি যশোরের সাগরদাঁড়িতে কবির ২০১তম জন্ম বার্ষিকীর আসন্ন ‘মধুমেলা’র মাঠ চত্বর থেকেগাছ কর্তন। তবে কেশবপুর থানায় সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলা’র মাঠে গাছ কর্তনের সময় হাতেনাতে ধরেও অজ্ঞাতনামায় অভিযোগ করেন ইনস্টিটিউশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম দত্ত।
ধুমমেলার আয়োজনের জন্য মেলার মাঠ থেকে ২০টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সাগরদাঁড়ি বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ টেন্ডারের মাধ্যমে ১৬টি গাছ বিক্রি করে। তবে গত শুক্রবার রাতে টেন্ডারের বাইরে আরও চারটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে সাগরদাঁড়ি মাইকেল মধুসূদন ইনস্টিটিউশনের (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) মাঠে মধুমেলা শুরু হবে। মেলার আয়োজনের জন্যই গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম দত্ত কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেনকে জানালে তিনি গত শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চোরাই কাঠ জব্দ করে ইনষ্টিটিউশনের শহীদ মিনার চত্বরে রেখে দিয়েছেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে কেশবপুর থানায় কাঠ চুরির অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশের সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে মেলার মঞ্চের দক্ষিণ পাশ থেকে আম, মেহগনি ও রেইনট্রির চারটি গাছ কেটে ফেলা হয়। সকালে বিষয়টি জানতে পেরে সাগরদাঁড়ি মাইকেল মধুসূদন ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার দত্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তার নির্দেশে কাটা গাছগুলো বিদ্যালয়ের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক গৌতম কুমার দত্ত বলেন, কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। শুক্রবার রাতে কাটা চারটি গাছের মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এর আগে, মেলার প্রাক্কালে টেন্ডারের মাধ্যমে আরও ১৬টি গাছ বিক্রি করা হয়, যার মূল্য ৪২ হাজার টাকা। টেন্ডারে বিক্রি হওয়া গাছগুলোর মধ্যে ১১টি জীবিত ছিল। তবে কিছু গাছ প্রাকৃতিক দুর্যোগে হেলে পড়েছিল। তবে মেলার প্রয়োজনে গাছ কাটা হয়নি।
সাগরদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, কাটা চারটি গাছের মধ্যে একটি ফলন্ত ন্যাংড়া আম গাছ ছিল প্রচুর ফল হত। গাছগুলো কেটে ফেলায় এলাকাবাসী কষ্ট পেয়েছেন। মেলার জন্য গাছ কাটার প্রয়োজন ছিল না এবং এটি অন্যায় হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, গাছ কাটার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পলাশ, মজিবর, মিঠু, গণিসহ সাতজনের নাম জানা গেছে। তদন্ত রিপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, গাছ কাটার বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছে। তদন্তে যাদের নাম আসবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
« অসুস্থ সাংবাদিক হাফিজকে দেখতে গেলেন সাংবাদিক কল্যান পরিষদের নেতৃবৃন্দ (পূর্ববর্তী সংবাদ)
(পরবর্তী সংবাদ) এই শীতে ঘুরে আসুন নৈসর্গিক প্রকৃতির শোভা পুটনির দ্বীপ »
সম্পর্কিত সংবাদ

রূপসী রূপসা নদীতে ঐতহ্যিবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক :: তারুণ্যরে উৎসবে সামনে রখেে “এসো দশে বদলাই, পৃথবিী বদলাই” প্রতপিাদ্যে নতুন বাংলাদশেবিস্তারিত…

কয়রায় জলবায়ু অভিযোজন মেলা
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :: কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিন ব্যাপী জলবায়ুবিস্তারিত…