বুধহাটায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মৎস্য ঘেরের বাঁধ ভাঙ্গা ও মাছ লুটের অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মৎস্য ঘেরে বাঁধ কেটে তছনছ ও মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বুধহাটা গ্রামের মজিবর রহমানের মৎস্য ঘেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন।
ঘের মালিক মৃত কেরামত আলী সরদারের ছেলে মজিবর রহমান জানান, তিনি ২০১৪ সাল থেকে ডিসিআর নিয়ে গুনাকরকাটি মৌজায় ১ নং খতিয়ানে ১৮৯৭ দাগে ৫০ শতক জমি ও মৃত পরেশ সরদারের ছেলে মহব্বতের কাছ থেকে ১ শতক জমি ডিড নিয়ে মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করে আসছেন। ১৪৩১ সালের ডিসিআর পেতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। যার নং ৯৫৩/২৪, তাং ২৯/০৭/২৪। জমিতে আমার লক্ষ টাকার উর্দ্ধে মাছ আছে। একই গ্রামের মৃত জব্বার সরদারের ছেলে গয়জদ্দীন ও তার ছেলেরা ছালাম, আসলাম, ইসলাম, মোকলেছ জোর পূর্বক ঘের দখল করে নেবে বলে হুমকি দিতে থাকে এবং গত ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করলে ঘের মালিক বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ আদালত সাতক্ষীরায় ১৪৫ ধারামতে পি-২২৪৫/২৪ মামলা করেন। আদালত তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার আদেশ করলে এএসআই শফিকুল ইসলাম ১৯ ডিসেম্বর উভয় পক্ষকে নোটিশ করেন এবং ২য় পক্ষকে ২০ মার্চে বিজ্ঞ আদালতে জবাব দাখিল করতে বলেন। এদিকে স্থানীয় ভূমি অফিস তার দীর্ঘকালের ডিসিআর নেওয়া, দখলে থাকা ও মাছ চাষ কারবার করা জমি অন্যের নামে ডিসিআর প্রদান করায় তিনি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রা:) সাতক্ষীরা আদালতে মিস আপীল ০১/২০২৫ রুজু করলে বিজ্ঞ আদালত পরবর্তী তারিখ (২৮/০১/২৫) পর্যন্ত নালিশী জমিতে স্থিতিবস্থাদেশ বজায় রাখার আদেশ দেন। এরপরও গত ৯ দিন পূর্বে প্রতিপক্ষ তার ঘেরের বাঁধ কাটতে গেলে তিনি বাধা দেন এবং পুলিশে খবর দিলে এএসআই আঃ হান্নান ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ডাকেন। সেখানে কাগজপত্র দেখে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা মেনে চলতে ও আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আদেশ করা হয়। কিন্তু শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) গভীর রাতে প্রতিপক্ষ মজিবরের ঘেরে অবৈধ প্রবেশ করে মাছ লুট ও ঘেরের বাঁধ কেটে তছনছ করে দেয়। মাছ লুট ও ঘেরের বাঁধ ছুটে দেওয়ায় ঘের মালিক হতবাক হয়ে পড়েছেন।
এএসআই শরিফুল ইসলাম সকালে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেন এবং আদালত অমান্যের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত গয়জুদ্দীন সরদার জানান, বিগত অতি বৃষ্টির ফলে পুরো ঘের-বিল পানিতে তলিয়ে থাকায় বাঁধ অনেকাংশে ধসে যায়। পাশের ঘেরে পানি তোলায় বাঁধ তলিয়ে গেছে। আমরা কেউ বাঁধ ভাঙ্গিনি, কেউ মাছও লুট করেনি। বরং পুলিশের কাছে বসাবসি হলে এক সপ্তাহের মধ্যে মাছ ধরে নিতে সিদ্ধান্ত দেয়া হলে তারা মাছ ধরে নিয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
« কলারোয়ায় দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কর্মচারীর মায়ের সংবাদ সম্মেলন (পূর্ববর্তী সংবাদ)
(পরবর্তী সংবাদ) আশাশুনির কালকী স্লুইস গেট সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে : মুহাদ্দিস রবিউল বাশার »
সম্পর্কিত সংবাদ
আশাশুনিতে যুব দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) :: আশাশুনিতে যুব জামায়াতের ইউনিয়ন সভাপতি, সেক্রেটারী ও টিমবিস্তারিত…
আশাশুনির আশরাফ ডিসাস সভাপতি নির্বাচিত
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোসিয়েশান (ডিসাস) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেনবিস্তারিত…