বিভেদের রাজনীতি বাদ দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে : সেলিম উদ্দিন

নিউজ ডেস্ক :: বিভেদের রাজনীতি বাদ দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিদায় এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও অবক্ষয়মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের শহীদ মুগ্ধ মঞ্চে উত্তরা পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত এক সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এ সময় থানা আমির মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ফিরোজ আলমের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন ও মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য মাহবুবুল আলম, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল ও সাবেক ঢাকা মহানগরী উত্তর শিবিরের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার আব্দুর রহমান প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীদের পতন হলেও তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য ওঠেপড়ে লেগেছে। এসব ষড়যন্ত্রে সরকারকে ভয় পেলে চলবে না বরং পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে ঐতিহাসিক ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা। তাদেরকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা আগামীতে ক্ষমতায় যেতে চান তাদেরকে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও সতর্ককতা অবলম্বন করতে হবে। এমন কথা বলা যাবে না, যাতে তাদেরকে জনগণ ফ্যাসিবাদের দোসর মনে করেন। তিনি বিভেদের রাজনীতি পরিহার করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।’

মহানগরী আমির বলেন, ‘অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদী অপশক্তিকে বিদায় করছে। জনগণ দেশে আর ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি দেখতে চায় না। তাই ফ্যাসিবাদের উত্থান রুখতেই জনগণ আগামী নির্বাচনে দেখেশুনে ভোট দিবেন। তারা প্রার্থীদের অতীত পর্যালোচনা করে দেখবেন। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের সম্পদের স্থিতি কতখানি তাও তারা বিবেচনা করবেন। আগামীতে ভোট দেয়ার মানদণ্ড হবে প্রার্থীর সততা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম ও তাকওয়া। যারা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ঈমান-আকিদা, বোধ-বিশ্বস, আবেগ-অনুভূতি এবং তাহজিব-তামুদ্দনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন জনগণ আগামীতে তাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেবে। তিনি আগামী দিনে জাতির নেতৃত্ব দিতে রাজনীতিবিদদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান।’

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত একটি গণমুখী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক দল। আগামী দিনে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যোগ্যতর নেতৃত্বের হাতেই ক্ষমতা তুলে দিতে চাই। আমরা এমন তাওকাবান নেতৃত্ব তৈরি করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি, যারা ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ যেকোনো প্রকার অবক্ষয়ের সাথে জড়িত হবেন না। আমরা ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হবে। শিশু শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে পবিত্র কোরআনের তর্জমা ও তেলাওয়াত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টি করতে পারলে আগামী দিনের নেতৃত্ব আর কোনোভাবে অপরাধ প্রবণতার সাথে জড়িত হবে না। তিনি সেই ইনসাফভিত্তিক ও অবক্ষয়মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় দল-মত নির্বিশেষে সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি






সম্পর্কিত সংবাদ

  • খুলনায় নভোথিয়েটার, জিয়া হল ও আধুনিক কসাইখানা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 
  • ১৫ বছর পর প্রথমবার জামিন পেলেন ২৫০ সাবেক বিডিআর সদস্য
  • প্রতারণার মামলায় সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
  • বৈষম্যহীন দেশ গড়তে জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে : ডা. শফিকুর রহমান
  • সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়ব ইনশাআল্লাহ
  • সবাই ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ৫ আগস্টের অবমাননা হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
  • সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলা পুন:তদন্ত ও বিচার দাবি