খুলনায় ব্যাটারীচালিত তিন চাকার বাহনের লাইসেন্স দেয়ার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নিউজ ডেস্ক :: রিকশা, ব্যাটারী রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের প্রস্তাবনা গ্রহণ করে অবিলম্বে “ত্রি-হুইলার ও সমজাতীয় যানবাহন ব্যবস্থাপনা নীতিমালা-২০২৪” চ‚ড়ান্ত করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিআরটিএ স্বীকৃত লাইসেন্স, মহাসড়কে সাইডলেন, চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, নগরীর গুরুত্বপ‚র্ণ স্থানে পার্কিং স্ট্যান্ড নির্মাণ, ট্রাফিক মামলা-হয়রাণি কমানোসহ ৮ দফা দাবিতে ০২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ সকাল ১১টায় সংগ্রাম পরিষদের খুলনা মহানগর কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের খুলনা মহানগর কমিটির আহবায়ক এস এম আলমগীর হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জনার্দন দত্ত নান্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের খুলনা মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সেলিম খান, ইলিয়াস আকন, মানিক মিয়া, কোষাধ্যক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রণ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কোহিনুর আক্তার কনা, দৌলতপুর থানা কমিটির নেতা আবু সাঈদ, শহিদুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা কমিটির নেতা হারুনুর রশীদ, আজহারুল ইসলাম, খালিশপুর থানা কমিটির নেতা ইউনুস আহমেদ মাসুদ, নূর আলম, সদর থানা কমিটির নেতা আব্দুল আলিম, জাহাঙ্গীর শেখ, বাবুল হোসেন, মহানগর কমিটির সদস্য ইয়াসিন মোল্লা, মুকুল তালুকদার, ফিরোজ হাওলাদার, মনিরুজ্জামান মনির, সৈয়দ নূরুল ইসলাম, ওবায়দুল হালিম, জহুরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাটারি চালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন, লাইসেন্স, মহাসড়কে সড়ক সাইড লেন, গুরুত্বপ‚র্ণ স্থানে স্ট্যান্ডের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যেখানে শ্রমিকদের বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেয়ার কথা কিন্তু তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সারাদেশে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের চালক রয়েছে ৪০ লক্ষ তার সাথে জড়িত তার পরিবারসহ প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি জণগণ। অথচ তাদের জীবিকার কোন নিরাপত্তা নাই। গত জুলাই আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশাপাশি ৪২ জন রিক্সা শ্রমিক স্বৈরাচারের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। অথচ তাদের জীবিকার নিরাপত্তা দিতে বিআরটিএ স্বীকৃত লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। তাদের প্রতিনিয়ত হয়রাণি-চাঁদাবাজির শিকার হতে হচ্ছে। বক্তারা বলেন, একমাত্র ২০২৪ সালে সরকার ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী বিআরটিএ স্বীকৃত লাইসেন্স দেওয়ার মধ্য দিয়েই সড়ক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। একইসাথে বক্তারা ট্রাফিক মামলার হয়রাণি, দীর্ঘসূত্রিতা ও জরিমানা কমানোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ১২ বছর ধরে লাইসেন্সের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে। যদি নীতিমালা চুড়ান্ত করে লাইসেন্স দেয়া না হয় তাহলে সামনের দিনে সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে আরো কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সম্পর্কিত সংবাদ
কয়রা শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতু নির্মান কাজ শুরু : সস্তিতে এলাকাবাসী
কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :: খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া খালের দু’ পাড়ের দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা ছাত্র-জনতারবিস্তারিত…
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের সাফল্য মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেল ৫৩ শিক্ষার্থী
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে :: নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এ বছরও মেডিকেলবিস্তারিত…