প্রধানমন্ত্রীকে অ্যামনেস্টি মহাসচিবের চিঠি
প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান বিক্ষোভ দমনের জন্যে
সাতক্ষীরা নিউজ ডেস্ক :: অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়া, বিক্ষোভ দমনে গুলি ও প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু, লাখো মানুষকে আসামি করে চলমান গণগ্রেপ্তারে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক খোলা চিঠিতে তিনি এই আহ্বান জানান। চিঠিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
মঙ্গলবার এই চিঠি অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে তিনি লিখেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। এ অবস্থায় সরকারকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে যেন বিশ্ববাসী এটা মনে করেন যে, বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা হচ্ছে।
চিঠির শুরুতে ক্যালামার্ড লিখেন, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাম্প্রতিক সহিংস দমনাভিযানের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ নিয়ে আমি আপনাকে লিখছি। সহিংসতা বন্ধ, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভের সময় ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আপনার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ক্যালামার্ড লিখেন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ২৮ জুলাই এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন। যদিও বেসরকারি সূত্র যেমন প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় কমপক্ষে ২১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ দমনাভিযানের অন্যতম হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভ শান্ত করতে দেশজুড়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক বেশি মৃত্যুর এই সংখ্যা বিক্ষোভ ও ভিন্নমতের প্রতি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের চরম অসহিষ্ণুতার দুঃখজনক অধ্যায় হয়ে উঠেছে।
সম্পর্কিত সংবাদ
সিরিয়ার দামেস্কে আসাদের বাসভবন থেকে যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন
নিউজ ডেস্ক :: বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ। এরবিস্তারিত…
উত্থান-পতনেও আমাদের সম্পর্ক টিকে আছে : ভারতের হাইকমিশনার
নিউজ ডেস্ক :: পারস্পরিক নির্ভরতার বাস্তবতা এবং পারস্পরিক সুবিধা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকবেবিস্তারিত…