গাজায় এক বস্তা আটার জন্য চলে যেতে পারে জীবন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার্থ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণ নিচ্ছেন। সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে এক বস্তা আটার জন্য চলে যেতে পারে নিজের জীবনও।

হামজা জোদা নামে এক ব্যক্তি রোববার (৩ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে বলেছেন, “আমি আটার বস্তা আসার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু আমাদের মাত্র বলা হলো আটা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের বাড়িতে চলে যেতে বলেছে। আমাদের কোনো উপায় নেই ফিরে যেতে হয়েছে।” তিনি গাজার মোরাগ এলাকায় ত্রাণের জন্য গিয়েছিলেন।

গাজার এ বাসিন্দা আরও বলেন, “এটি একটি অপরাধ, ভয়াবহ। এটি জীবন মৃত্যুর বিষয়। পরিস্থিতি অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। এখানে ইসরায়েলিদের ট্যাংক অবস্থান করছে। সার্বক্ষণিক গোলাগুলি হচ্ছে।”

নিদাল কাসেমী নামে অপর এক ব্যক্তি শাতি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এসেছেন ত্রাণের আসায়। তিনি বলেন, “আমি এখানে কিছু ত্রাণ আর খাবারের আশায় এসেছি। বাজারে যেসব খাবার আছে সেগুলোর দাম অনেক চড়া, সাধ্যের বাইরে। আমরা সেই শাতি ক্যাম্প থেকে এসেছি। শুধুমাত্র অল্প সাহায্যের জন্য। শুধুমাত্র আমাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য।”

ত্রাণ নিতে এসে অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন উল্লেখ করে নিদাল কাসেমী বলেন, “প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। কখনো ৬ জন, ১০ জন, প্রতিদিন। ইসরায়েলিদের ট্যাংক মানুষকে ঘিরে রাখে। আবার গুলি হয়।”

অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক মানুষ বেশি ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন আবার অনেক কিছুই পাচ্ছেন না উল্লেখ করে নিদাল বলেন, “প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ হওয়া উচিত ছিল। দরকার ছিল পরিচয়পত্র দেখে ত্রাণ দেওয়া। এরবদলে সবাই একসঙ্গে ত্রাণ নিতে যাচ্ছে। অনেকে বেশি ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে। আর কেউ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এটি ক্রাইম।”

সূত্র: আলজাজিরা






সম্পর্কিত সংবাদ

  • পালালেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে নিল সেনাবাহিনী
  • আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের
  • পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় প্যারামিলিটারি-পুলিশসহ ২৩ জন নিহত
  • শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনিজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো
  • সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই
  • ইসরায়েলকে বয়কটের ঘোষণা দিলেন ১২০০ শিল্পী
  • কলকাতায় বাধ্যতামূলক করা হলো বাংলা সাইনবোর্ড
  • বেতন বকেয়া রাখায় দুবাইয়ের রেস্তোরাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন বুরাক