ইউপি চেয়ারম্যান হত্যা: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতা কর্মীর নামে মামলা

নিউজ ডেস্ক :: সাতক্ষীরায় ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল হত্যায় সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ ১৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা আমলি ১ নং আদালতে নিহতের ভাই জিয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তিনি সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সানার ছেলে।

আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল বাদির লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্যান্যা আসামীরা হলেন, সদর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক, সাবেক এস আই হেকমত আলী, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের রিয়াজউদ্দীন গাজীর ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক জিপি গাজী লুৎফর রহমান, কাশেমপুর গ্রামের নাজির উদ্দীন সরদারের ছেলে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, তার ভাই আব্দুল হান্নান, একই গ্রামের কালাচাঁদ সরদারের ছেলে হবিবার রহমান, মাহাবুবুর রহমান, ইন্দিরা গ্রামের মোহর আলীর ছেলে হাশেম আলী, আবুল কাশেমের ছেলে তহিদুল ইসলাম, কওছার আলীর ছেলে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শওকত হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ, রসুলপুর গ্রামের কোমর উদ্দীন সরদারের ছেলে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবু আহম্মেদ, কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম, নুর ইসলাম গাজীর ছেলে ইয়াহিয়া গাজী এবং শাল্যে গ্রামের আব্দুল গফফারের ছেলে সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুর কবির এবং পুলিশের অন্যান্যা সদস্যসহ উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি সাদা গাড়ীতে করে আগরদাড়ী ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনারুল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে তাকে সদর থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে দুই পা ভেঙ্গে দেয়। পরে চোঁখ বেঁধে সদর উপজেলার শিকড়ীর ফাঁকা মাঠে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সে সময় নিহতের স্বজনরা মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। যে কারনে সে সময় মামলা করতে পারেনি। তবে, সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসায় ভাই হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছেন বলে জানান বাদী জিয়ারুল।



(পরবর্তী সংবাদ) »



সম্পর্কিত সংবাদ

  • সাতক্ষীরায় বৃষ্টির পানিতে বেড়েছে জলবদ্ধতা, বিপর্যয়ে জনজীবন
  • গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় সাতক্ষীরার নাজমুল নিহত
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে দেড় কো‌টি টাকার স্বর্ণসহ চোরাকারবারি আটক
  • নাগরিক টেলিভিশনে নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক কৃষ্ণ ব্যানার্জি
  • সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আগাগী ১৬ সেপ্টেম্বর মতবিনিময় সভা
  • ঝাউডাঙ্গায় জামায়াতে ইসলামী (যুব বিভাগ) এর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • ঝাউডাঙা বাজারে শিবির কর্মী হত্যায় সাবেক এসপি, ওসি, আ’লীগ নেতাসহ ৪৩ জনের নামে মামলা
  • বিভিন্ন মানুষের নামে হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভোমরায় মানববন্ধন