সফল উদ্যেগতার অনুকরনীয় মডেল দেবাশিষ মন্ডল
নিউজ ডেস্ক :: একজন সফল উদ্যেগতার অনুকরনীয় মডেল হয়ে উঠেছেন দেবাশিষ মন্ডল। তিনি মন্ডল পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারীর স্বত্তাধিকারী। তার বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পূর্ব কুলিয়া গ্রামে।
দেবাশীষ মন্ডল ২০১০ সালে লেখা পড়ার পাঠ শেষ করে চাকরীর পিছনে ঘোরেননি।তিনি মাত্র ৫০০ মুরগী নিয়ে তার বাড়ির পাশের্^ একটি পোল্ট্রি খামার এর ব্যবসা শুরু করেন।সাথে এক একর জমিতে মাছ চাষ ও শুরু করেন। সেখান থেকে আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি জানান, প্রেল্ট্রি ফার্ম শুরু করার এক বছর পর সোনালী মুরগীর চাষ শুরু করি। এখন তার খামরে মুরগীর সংখ্য ৫ হাজার। ফার্মে কর্মচারীর সংখ্যা ৬/৭ জন। সোনালী মুরগীর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য তিনি আগে অন্য ফার্মের দারস্ত হতেন। কিন্তু ু এক বন্ধুর পরামর্শে একটি ডিম ফুটানোর মেশিন ক্রয় করেন। আস্তে আস্তে তিনি ডিম ফুটানোর মেশিনে বেশ লাভবান হতে লাগলেন। বর্তমানে তার ফার্মে ৫টি বিশাল আকারের ডিম ফুটানোর মেশিন রয়েছে। প্রতিটি মেশিন থেকে ১৭ হাজার করে মোট ৮৫ হাজার ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তোলেন।
প্রতি শনি ও মঙ্গলবার ডিম থেকে বাচ্চা উঠানের পর এক দিন নিবিড় পরিচর্চার পর বিক্রি করেন।
সাতক্ষীরা ছাড়া ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিড ব্যবসায়ী দের কাছে তিনি প্রতিটি বাচ্চা ২৫ থেকে ৫০ টাকা পাইকারী দরে বিক্রে করেন। দেবাশীষ মন্ডল আরো জানান, মাছ চাষ থেকে প্রতি বছর ২/৩ লাখ টাকা লাভ হয়। আর মুরগী এবং মুরগীর বাচ্চা বিক্রি করে বছরে তিনি ১০ থেকে ১৫ লাখ লাভ করেন। বিগত দিনে করোনা মহামরীর সময় একটু লোকসান হয়েছিল ঠিকই কিন্তু অন্য সময়ে তার ব্যবসায় লোকসান গুনতে হয়নি।
২০২০ সালে দেবহাটা উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে তার ফার্ম রেজিষ্ট্রি করেছেন। সরকারী অনুদান হিসাবে করোনা কালীল সময়ে মাত্র ২০ হাজার টাকা সহায়তা পেয়েছিলেন।
বিভিন্ন সময়ে মুরগীদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দেয়। তিনি জনান, প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কোন ডাক্তার কখনো আমাদের সেবা দিতে আসেন না বা কোন প্রকার ঔষধ দেনা না। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর লোকজনই আমাদের ফার্মের মুরগীর ট্রিটমেন্ট করে থাকেন।
নতুন করে ফার্ম সম্প্রসারনের জন্য ৪ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং নির্মানের কাজ শুরু করেছন। নতুন বছরে ঐ বিল্ডিং-এ এক সাথে ৫ হাজার মুরগী চাষ করবেন। তার ফার্মে প্রতি মাসে ৬/৭ জন কর্মচারীর বেতন বাবদ ৭৫ থেকে ১ লক্ষ টাকা দিতে হয়। সরকারী ট্যাস্ক,ভ্যাট,বিদ্যূৎ বিল,খাদ্য খাবারসহ অন্যান্য খরচ খরচা বাদ দিয়ে প্রতি বছর ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তার লাভ হয়।
তিনি দেশের বেকার যুবকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, চাকরী নামক সোনার হরিণের পিছনে না ঘুরে সবাই উদ্যোগতা হোন এবং মুরগীর ফার্ম করুন। এতে করে একদিকে যেমন দেশের আমিষের চাহিদা পূরণ হবে অন্যদিকে ব্যাপক বেকারত্ব দূর হবে।
সম্পর্কিত সংবাদ
দেবহাটার সুশীলগাঁতী ও টাউনশ্রীপুর গ্রামকে স্বাস্থ্যকর ঘোষণা
এমএ মামুন :: দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাঁতী ও টাউনশ্রীপুর গ্রামে স্বাস্থ্যকর গ্রাম ঘোষণা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিতবিস্তারিত…
সাতক্ষীরায় আলোচিত ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক :: সাতক্ষীরার থেকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজীর হোসেনবিস্তারিত…