আশাশুনির কাদাকাটি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের মতবিনিময়
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসেন। সোমবার বিকালে ইউনিয়নের মোকামখালী স্লুইস গেটের কাছে এ মতবিনিময় সভা করা হয়।
ইউনিয়নের কাদাকাটি, টেংরাখালী, তালবাড়িয়া, মিত্র তেতুলিয়া, জলাইখালী স্লুইস গেট, মোকামখালী স্লুইস গেট এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসেন।
এসময় তিনি এলাকার সার্বিক খোজ খবর নেন। পরে মোকামকালী স্রুইস গেট পুনঃ নির্মান কাজের স্থান পরিদর্শন শেষে এলাকার সুধীজনের সাথে মতবিনিময় করেন। স্লুইস গেটটির নির্মান বাজ চলমান থাকায় পানি নিস্কাশন কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ জলমগ্নতা ও জরাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে গেটেরর বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিস্কাশনের দাবী জানিয়ে আসছে। দাবীর প্রেক্ষিতে সরেজমিন অবস্থা দেখা ও মতবিনিময় করা হয়। মতবিনিময়কালে কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান : শুনে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতাব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
জি এম মুজিবুর রহমান :: গত কয়েকদিনের অতি বর্ষণের ফলে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘের, খাল, বিল ও নীচু স্থানের ঘরবাড়ি।
একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলা সদর, বড়দল, স্রীউলা, প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া, শোভনালী, কাদাকাটি, দরগাহপুর, কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল বুধহাটা, নওয়াপাড়া, শ্বেতপুর, মহেশ্বরকাটি, কুল্যা ইউনিয়নের কুল্যা, গুনাকরকাটি, বাহাদুরপুর, আইতলা, মাদারবাড়ীয়া, দাদপুর, পুরোহিতপুর, আগরদাড়ী, কচুয়া, হামকুড়া এলাকা ঘুরে জানাগেছে এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বেতনা নদীতে নিষ্কাশিক হয়ে থাকে। গত বছর থেকে বেতনা নদীর খনন কাজ শুরু হলে নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ার ভাটা বন্ধ করে দেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ফলে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নদীতে নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে সকল এলাকায়। বুধহাটা গ্রামের পূর্ব পাড়ায় অতিবৃষ্টির ফলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, পুকুর, মৎস্য ঘের ও রাস্তাঘাট। অতি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সম্ভব না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাটি দিয়ে তৈরী ঘর বাড়ি জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়ায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। একই অবস্থা কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকার সাধারণ মানুষের।
বুধহাটা গ্রামের ইজিবাইক চালক রমজান আলী বলেন, গত বছর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম এর অর্থায়নে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করা হলেও এবছর আর কারও সন্ধান মিলছে না। স্থানীয়রা তাদের ভিটাবাড়ি রক্ষার্থে যেকোনো ভাবেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
« নলতায় জামায়াতের “কর্মী শিক্ষা শিবির” অনুষ্ঠিত (পূর্ববর্তী সংবাদ)
(পরবর্তী সংবাদ) পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ »
সম্পর্কিত সংবাদ
কাদাকাটিতে পানিবন্ধি মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কাদাকাটি গ্রামে দীর্ঘ দেড় মাসবিস্তারিত…
বুধহাটায় জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় জামায়াতে ইসলামীর যুব কমিটির সমাবেশ অনুষ্ঠিতবিস্তারিত…