খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি’র মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

খুলনা প্রতিনিধি :: মুরগীর ডিম-মাংস উৎপাদক-ভোক্তার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকল্পে ও অযৌক্তিক মূল্য তালিকা পুনঃ নির্ধারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, খামারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবীতে বিপিআইএফ-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি ও খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি’র উদ্যোগে আজ ২২ অক্টোবর ’২৪ মঙ্গলবার সকল ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের মহাসচিব ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব প্রাণিপ্রেমী এস এম সোহরাব হোসেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের বিকশিত-উদীয়মান পোল্ট্রি শিল্প ক্ষুধা-দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসংস্থান ও স্বপ্লমূল্যে আমিষের যোগানদাতা হিসেবে প্রত্যক্ষ ৭০ লক্ষ ও পরোক্ষভাবে ০১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহ ও তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও বিনিয়োগে সম্পূর্ণ বেসরাকারি উদ্যোগের ফসল পুষ্টিকর-নিরাপদ মুরগীর ডিম ও মাংস। খুলনা বিভাগ পূর্বে ডিম-মুরগী উৎপাদনে এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে অন্যান্য এলাকা থেকে চাহিদা পূরণ করতে হয়। খুলনা জেলায় ৪৯৫২টি ছোট-বড় খামার হতে প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার ডিমের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫০ পীচ। অপরদিকে ব্রয়লার, ফকরেল, সোনালী মুরগীর মাংস চাহিদা ১০০ মে. টনের বিপরীতে উৎপাদন হয় ৭০ মে. টন। অন্যদিকে দেশী-বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর সাথে অসম প্রতিযোগিতা ও তাদের ডিম-মুরগীর বাজার সিন্ডিকেটে ধরাশায়ী খামারীরা। এতে অনেক ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারীরা অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছে। আবার সরকারও তাদের সাথে মিলে ডিম আমদানীর অনুমতি ও মূল্য নির্ধারণ করছে যা এ শিল্পের জন্য অশনি সংকেত।
দেশে ডিম, মুরগী, খাদ্য-বাচ্চাসহ সকল পর্যয়ে দেশি-বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানীগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দাম বাড়ায়-কমায়। এদের মধ্যে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি, সি পি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্ম লিঃ, ডায়মন্ড এগ, সাগুনা, এসিআই, নীরিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী, নাহার এগ্রো অন্যতম। ডিমপাড়া লেয়ার মুরগীর বাচ্চা পাওয়া যায় না। যদিওবা পাওয়া যায় তা ৩-৪ মাস পরে ৯০-১০০ টাকা মূল্যে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া পশুখাদ্য-ওষুধের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারীরা সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কৃষি বিপনন অধিদপ্তর কর্তৃক বেধে দেওয়া মূল্যে তাদের উৎপাদিত ডিম-মুরগী দিতে পারছে না। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ’২৪ কৃষি বিপনন অধিদপ্তর, পাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও দেশী-বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানীগুলো প্রান্তিক ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারীদের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকারিভাবে ডিম ও মুরগীর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এতে প্রতিটি ডিমে খামারী-উৎপাদক পর্যায়ে ১০.৫৮ টাকা, পাইকারী পর্যায়ে ১১.১ টাকা ও খুচরা ভোক্তা পর্যায়ে ১১.৮৭ টাকা। অপরদিকে ১ম ও ২য় দফায় ব্রয়লার মুরগীর খুচরা পর্যায়ে ১৭৯.৫৯ টাকা, সোনালী ২৬৯.৬৪ টাকা বেধে দিয়েছে। কিন্তু পাইকারা বেধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক বেশিতে ক্রয় করতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রী করছে। বক্তব্যে আর বলা হয় খাদ্য-বাচ্চা-ওষুধের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ না করলে কোনো অবস্থায় ডিম-মুরগীর দাম কমার সম্ভাবনা নেই। সরকার ঘোষিত ডিম-মুরগীর মূল্য প্রান্তিক ক্ষুদ্র-মাঝারীদের জন্য পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক। এছাড়া ভারতের আমদানী করা ডিমের মূল্য কম হলে বাংলাদেশে বেশি হবে কেন ? সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জিজ্ঞাসাÑসরকারি নির্ধারিত মূল্যে খুলনায় ডিম-মুরগী পাওয়া যাচ্ছে না কেন?ি তার ব্যবস্থা না করে কোনো খুচরা-পাইকারী দোকানে মনিটারিং/পরিদর্শনের নামে জেল-জরিমানা হয়রাণিমূলক, অযৌক্তিক ও অমানবিক। খামারীরা ক্যাশমেমো না দেওয়া পর্যন্ত পাইকার-ব্যবসায়ীদের ক্যাশমেমোতে ক্রয়-বিক্রয় করবেন এটাই যুক্তিযুক্ত এবং এসব অভিযোগে ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিযোগিতা কমিশনসহ অন্যান্য সংস্থা উল্লিখিত সমস্যার গভীরে যেয়ে সমাধানের আহŸান জানান। সরকারি মূল্যে ডিম-মুরগীর ব্যবস্থা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরও কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
এ সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি’র সভাপতি আলহাজ্ব মাওঃ ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহ, সহ-সভাপতি শেখ রেজানুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মামুনুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মোঃ হেলালুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল হালিম, নির্বাহী সদস্য শাহ জাফর মাহমুদ মেহেতা, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ রাজা, মোটর সাইকেল মেকানিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ আইনুল হক, খুলনা ট্রেনিং রিহাইবিøটেশন সেন্টার অব দি বøাইন্ড-এর সভাপতি মোঃ মোতালেব শেখ, আছিয়া-সাত্তার ইসলামি সমাজকল্যাণ পরিষদের পরিচালক এস এম তামজিদ হোসেন সৌরভ, খামারী মোঃ শাহজাহান, রবিউল ইসলাম নাদিম, ইম্প্রিয়াল চিকস-এর তৌহিদুজ্জামান তৈহিদ, ডিম ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ রানা, মোঃ মঞ্জু, মনোয়ার হোসেন, সাকিল আহমেদ, মোঃ রাসেল, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ নূর হোসেন, মোঃ রাজিব হাওলাদার, মোঃ মোফাজ্জেল, মোঃ জামিল হোসেন রনি, আব্দুল মালেক, মোঃ ইয়াহিয়া মিণ্টু, মোঃ আসিফ খান, মোঃ সাগর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

 

 






সম্পর্কিত সংবাদ

  • শার্শায় ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত  
  • শার্শায় নিহতের দুই মাস পর কবর থেকে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
  • পাইকগাছায় তাতীদলের জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • শ্যামা-কালী পূজার মন্ডপ পরিদর্শনে খুলনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ
  • হঠাৎ মাইকে বেজে উঠল শেখ হাসিনার গুণকীর্তন, আটক ৫
  • কুষ্টিয়ায় দুই লক্ষ নকল আকিজ বিড়িসহ আটক ১
  • পাইকগাছায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে গাছের চারা বিতরণ
  • কুষ্টিয়ায় দুই লক্ষ নকল আকিজ বিড়িসহ আটক ১