নার্সদের নিয়ে কটূক্তি : মহাপরিচালকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক :: নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ঢাকা মেডিকেল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এই দাবি করেন।
সমন্বয়ক মো. সাব্বির মাহমুদ তিহানের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নার্সিং সংস্কার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ডক্টর শরিফুল ইসলাম, নার্সিং কলেজের ছাত্র সমন্বয়ক মহিবুল্লাহসহ ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, নার্সিং অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দিতে হবে। আন্দোলনকারীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নার্সরা প্রশাসনিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন, যার বিরুদ্ধে এবার তারা কঠোর কর্মসূচি নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রোববার ১৫ই সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে কর্মবিরতি কিংবা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
আন্দোলনরত নার্সরা বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে সংকটের সময়, যেমন করোনা মহামারি, ডেঙ্গু এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জরুরিতে, তারা সম্মুখ সারিতে থেকে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। কিন্তু তবুও তাদের পেশাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং প্রশাসনিক পদে তাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া নার্সদের পেশাগত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এর ফলে, দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ আরও তীব্র হয় যখন গত ১২ই সেপ্টেম্বর একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নার্সিং অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নার্সদের অভিযোগ, এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের পেশাগত মর্যাদা হ্রাস করছে এবং তাদের দক্ষতাকে অবমূল্যায়িত করছে। নার্সরা মনে করেন, প্রশাসনিক পদে তাদের নিজস্ব পেশাজীবীদের নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান সম্ভব, যা তাদের পেশাগত উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, ৮ই সেপ্টেম্বর নার্সিং ওমিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দেন। তার এই মন্তব্য নার্সদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নার্সরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবি জানান।
নার্সরা মনে করেন, তাদের পেশার সম্মান ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক পদগুলোতে নার্সদের নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্যসেবার মান কমে যাবে এবং নার্সদের পেশাগত গর্ব ও দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সম্পর্কিত সংবাদ
হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর
নিউজ ডেস্ক :: র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুনবিস্তারিত…
‘ডিম ট্রাকে থাকতেই হাতবদল হয় চারবার’
নিউজ ডেস্ক :: ডিম ট্রাকে থাকা অবস্থাতেই কারওয়ান বাজারে চারবার হাতবদল হয় বলে মন্তব্য করেছেনবিস্তারিত…