জলে আনন্দে ভাসায় ‘সুখের তরী’
নিউজ ডেস্ক::পৃথিবীতে হয়ত খুব কম মানুষই আছে যাদের কাছে নদী, জল অপছন্দের। বলতে গেলে নদীতে কিংবা লেকের জলে ভাসতে চাওয়া মানুষের একটি শখ।
আর জলে ভাসাটা যদি হয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ লেক রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে, তাহলে তো কথায় নেই।
আর এ কারণেই ‘রূপের রানী’ খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সবুজ পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে বয়ে চলা কাপ্তাই লেকের ভ্রমণকে আরও পরিপূর্ণতা দিচ্ছে প্রিমিয়াম হাউজবোট ‘সুখের তরী’।
কাপ্পাই লেকে হ্রদ-পাহাড়ের মেলবন্ধন যেকোনো ভ্রমণ পিপাসুর ভ্রমণ তৃষ্ণা মেটানোর সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছে ‘সুখের তরী’৷
‘সুখের তরী’ হাউজবোটটিতে চড়ে কাপ্তাই লেকের আশেপাশের সুবলং বড় ঝর্ণা, সুবলং ছোট ঝর্ণা, আদিবাসী মার্কেট, বৌদ্ধ বিহার, লেকশোর, লেক প্যারাডাইস, পলওয়েল পার্ক, ঝুলন্ত ব্রিজ, বেরাইন্না/বড়গাঙসহ বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা ঘোরার সুযোগ পেয়ে থাকেন দর্শনার্থীরা।
রাজকীয় আধুনিক সুবিধা এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়া সংবলিত হাউজবোটটিতে পাওয়া যাবে ৬টি সুপ্রশস্ত এসি লক-ডোর কেবিন; প্রত্যেকটি কেবিনে লাইট, ফ্যান, এসি, চার্জিং পয়েন্ট; সুবিশাল স্বচ্ছ গ্লাসের জানালা; প্রতিটি রুমে ড্রেসিং গ্লাস, জামা-কাপড় রাখার স্টান্ড এবং লাগেজ রাখার পর্যাপ্ত জায়গা; ২টি মানসম্মত আধুনিক ওয়াশরুম; স্টাফদের জন্য আলাদা ওয়াশরুম; প্রায় ৩০০ বর্গফুটের বিশাল লবি; লবিতে ইনডোর গেমস (ডার্ট, কার্ড, উনো, লুডু, দাবা ইত্যাদি); বোটের সামনে কাপলদের জন্য বসার জায়গা হিসাবে আছে চমৎকার একটি দোলনা ইত্যাদি।
হাউজবোটটিতে ভ্রমণকালে বার্বিকিউ পার্টিসহ নানান বৈচিত্রময় খাবার রয়েছে। দক্ষ বাবুর্চিদের মাধ্যমে পাহাড়ি ও দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয় দর্শনার্থীদের জন্য।
কেবল নানা সুযোগ-সুবিধা নয়, এই হাউজবোটে রয়েছে দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা৷এতে রয়েছে পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, জরুরি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, জেনারেটরসহ প্রভৃতি সেবা।
হাউজবোটটির মালিক আরাফ ইনতিসার দিপ্ত বলেন, ‘সুখের তরীতে ভ্রমণ করে এখন পর্যন্ত সবাই সন্তুষ্ট, যেটা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় প্রেরণা।
আমরা রাঙামাটির পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে দর্শনার্থীদের সব ধরণের সেবা দিতে চাই। পর্যটককের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ায় আমাদের মূল লক্ষ্য।’
রাঙামাটির শহীদ মিনার ঘাট থেকে শুরু হয় ‘সুখের তরী’র ভ্রমণ। একদিন কিংবা দু’দিনের ভ্রমণে সম্পূর্ণ কাপ্তাই লেক ঘুরে বেড়ায় এই হাউজবোট৷ পুরো হাউজবোট রিজার্ভ করতে জনপ্রতি খরচ হতে পারে ৪০০০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম অথবা মোবাইলে যোগাযোগ করে সময় সাপেক্ষে রুমও ভাড়া নিতে পারবেন যে কেউ।
সূত্র:যুগান্তর নিউজ
সম্পর্কিত সংবাদ
সবুজ নাকি লাল, কোন আপেল বেশি স্বাস্থ্যকর?
নিউজ ডেস্ক :: সবুজ-লাল আপেল দুটোই স্বাস্থ্যসম্মত এবং তাদের নিজস্ব পুষ্টিগুণ-উপকারিতা রয়েছে। যারা ডায়েটেরবিস্তারিত…
ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিশ্চিতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ
নিউজ ডেস্ক :: পডিয়াট্রি অ্যাসোসিয়েশন ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন নিশ্চিতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশে ডায়াবেটিক ফুটবিস্তারিত…