আজ শুভ বড়দিন

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরা আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করবেন। গির্জায় গির্জায় হবে  প্রার্থনা। ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তাক্লজের উপহারে মেতে উঠবে শিশুরা। গতকাল রাত থেকেই বিশেষ প্রার্থনা ও আরতির মধ্য দিয়ে বড়দিনের উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের ঘরে ঘরে আজ সুস্বাদু খাওয়ার আয়োজনের পাশাপাশি নগরীর পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা থাকছে। রাজধানীর গির্জাগুলোকে এরই মধ্যে রঙিন আলো ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।

কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চের ফাদার আলর্বাট রোজারিও জানান, গতকাল রাত ৮টায় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান চার্চে গিয়ে মতবিনিময় করেন। আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবে একটি প্রতিনিধিদল। তিনি আরও জানান, গতকাল রাত ৯টা থেকে কাকরাইল চার্চে শুরু হয় বড়দিনের প্রার্থনা, গান ও আরতি।

খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন হচ্ছে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে বড় উৎসব। যিশুখ্রিস্ট এসেছেন এই পৃথিবীতে আত্মমানবতার সেবার জন্য। তিনি শান্তি ও ভালোবাসার বার্তা নিয়ে এসেছেন। মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে পৃথিবীতে বসবাস করতে পারে এবং যুদ্ধ যেন বন্ধ হয় এই বার্তা নিয়ে তিনি এসেছিলেন। তারা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই মূলত বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়। দেশের গির্জাগুলোতে বিভিন্ন সময় এই বিশেষ প্রার্থনা শুরু হয়। এই প্রার্থনা আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলতে থাকবে। বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর সব চার্চকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এজন্য চার্চে নিরাপত্তার পাশাপাশি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা ও প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাব ও পুলিশের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) ফোন করতে বলা হয়েছে।  গতকাল রাজধানীর রমনার কাকরাইলে অবস্থিত সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চে বড়দিনের সার্বিক নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শন শেষে ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান মো. মাসুদ করিম বলেন, বড়দিন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নগরীর প্রতিটি চার্চে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে সোয়াত, বোম্ব ডিসপোজাল টিমসহ স্পেশালাইজড ইউনিটগুলো দায়িত্ব পালন করবে। বড়দিন উৎসবে নিরাপত্তা হুমকি নেই, আমরা সতর্ক রয়েছি। বর্তমানে সেনাবাহিনী পুলিশের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে। সবার সহযোগিতায় অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদ্যাপন হবে। অপরদিকে র‌্যাব কর্তৃপক্ষ বলছেন, খ্রিস্টধর্মের বড়দিনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বড়দিনকে কেন্দ্র করে সব ধত্নর অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বিকালে খিস্টধর্মের অনুসারীদের একটি প্রতিনিধিদল যমুনায় গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন। বড়দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে খ্রিস্টধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়। এ বছর দেশের ৭৪৬টি প্রতিষ্ঠানকে এ অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সাতটি ভাগে ভাগ করে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চার্চ, গির্জা ও তীর্থস্থান। খ্রিস্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ অনুদান বিতরণ করা হব






সম্পর্কিত সংবাদ

  • সবাই ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ৫ আগস্টের অবমাননা হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
  • সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলা পুন:তদন্ত ও বিচার দাবি
  • লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট
  • মহানগর পূজা পরিষদের উদ্যোগে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
  • কয়রায় আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি বাবু, দু্ই চেয়ারম‌্যান সহ ১১ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা
  • বিআরটিএ ও ডামের উদ্যোগে ৭২৩ গণপরিবহণ চালককে প্রশিক্ষণ  
  • আগামী নির্বাচনকে ঐতিহাসিক করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা