স্বৈরাচার,খুনি’র পতন হলেও ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে : তারেক রহমান

 

একরামুল কবীর :: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি.র রাজনীতি হলো উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি,আমরা বাংলাদেশ তথা সাতক্ষীরার সকল সম্ভবনাকে খুজে বের করে আনতে চায়, সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে চায়। দেশ ও জনগনের উন্নয়ন তখনই হবে যখন একটি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করবে।

জনগনের সরকারই একমাত্র জনগনের কথা চিন্তা করে। জনগনের সরকারই একমাত্র জনগনের কাজ করে।

তিনি রবিবার বিকালে ভার্চুয়ালী অংশ গ্রহণ করে কলারোয়া ফুটবল মাঠে কলারোয়ার সদ্য কারা মুক্ত ৪৫ জন নেতা কর্মীর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। কলারোয়া তালার সাবেক এম পি, স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার ৭০ বছর সাজা প্রাপ্ত আসামী বিগত ৪ বছর কারা বরণকরী কলারোয়া তালার গণমানুষের নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সহধার্মিনী এ্যাডভোকেট শাহনারা আক্তার বকুল,বিএপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল,রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক,খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু,বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং এর কর্মকর্তা শামছুদ্দীন দিদার,জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ শহীদুল আলম,সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন,যুবদল নেতা মাষ্টার তামিম আযাদ মেরিন,সাবেক জি এস মীর রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চু।

তারেক রহমান তার বক্তৃতায় আরো বলেন,বিগত দিনে খালেদা জিয়ার সরকার জনগনের সরকার ছিলো বলেই মা বোনদের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে করা হয়েছিল। শহীদ জিয়াউর রহমানের সরকার জনগনের সরকার ছিলো বলেই কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সারা দেশে খাল খনন করা হয়েছিলো। তিনি বলেন,প্রিয় ভাই বোনেরা আমরা আবার দেশে খাল খনন শুরু করবো। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য, শুষ্ক মৌসূমে পানি সরবরাহ করার জন্যে, সর্বোপরী সমগ্র দেশের কৃষকেরা আবার যাতে সেচ সুবিধা ভালো ভাবে পায় সে জন্য খাল কাটা কর্মসূচি শুরু করবো ইনশাল্লাহ।

উপস্থিত লাখো জনতার উদ্দ্যেশে তিনি বলেন,জনগনের জন্য এলাকার মানুষের জন্য সর্বোপরি বাংলাদেশেরে মানুষের জন্য যদি কাজ করতে হয়, তাদেরকে যদি সম্ভবনর দিকে নিয়ে যেতে চায় এই সম্ভবনার দ্বার গুলো যদি খুলে দিতে চায় তা হলে ভাই বোনেরা কথা একটি উপায় একটিই জনগনের সরকার গঠন। এবং জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে উপায় একটি রাস্তা একটি ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ছাত্র জনতার আন্দোলনে,জনগেনর অভ্যূথানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্ত আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ অথাৎ জনগনের যে রাজনৈতিক অধিকার সেটি এখনও অর্জিত হয়নি। কাজেই আমাদের আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। যতক্ষন পর্যন্ত জনগনের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততক্ষন পর্যন্ত বিএনপি’র আন্দোলন অব্যহত থাকবে।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো কিন্ত শেষ হয়ে যায়নি স্বৈরাচারের পতন হয়েছে ঠিকই ষড়যন্ত্র কিন্তু অব্যহত রয়েছে। আমরা গত কয়েক দিন ধরে দেখেছি কিছু রাজনৈতিক দল বা সংগঠন বিভান্ত্র হয়ে কিছু কথা বলছে তারা। প্রিয় সহকর্র্মী বৃন্দ ও উপস্থিত ভাই ও বোনেরাআমি মনে করি, আমি বিশ^াষ করি একটি প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়েছে দল গুলো বা সেই রাজনৈতিক সংগঠনগুলো,আর সেই জন্যই তারা আজ বিভ্রান্তি ছড়ায় এই রকম কিছু কথাবর্তা তারা বলছে। প্রিয় ভাই বোনেরা আপনারা যারা এখানে উপস্থিত আছেন আপনাদের মাধ্যমে সমগ্র বাংলািদেশে গনতন্ত্র প্রিয় প্রতিটি মানুষের কাছে আহবান জানিয়ে আমি বলতে চায়, আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। যে ষড়যন্ত্র দেশের ভিতরে ছিলো যে ষড়যন্ত্র দেশের বাইরে ও ছিলো তাদের সে ষড়যন্ত্র এখনো অব্যহত আছে। তারা কোন ভাবেই চায়না এ দেশের মানুষ তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাক। দেশের মানুষ যদি গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পায় তাহলে এ দেশের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারবে, তাহলে এ দেশের মানুষ ধীরে, ধীরে,আস্তে, আস্তে শক্তিশালী অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে পারবে এবং দেশের মানুষ যখন অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারবে, নিজ মেরুদন্ডকে সোজা করে দাড়াতে পারবে তখন এই ষড়যন্তকারীদের সব প্লান প্রোগ্রাম ভেস্তে যাবে। সেই জন্য ঐ ষড়যন্ত্রকারীরা চায় না,দেশের বাইরে এবং ভিতরে থেকে যারা কলকাটি নাড়ছে তারা চায় না এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাক।

তিনি আরো বলেন,এই দেশের মানুষেরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে ১৯৯০ সালে গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে, এই দেশের ছাত্র জনতা আবারো ২০২৪ সালে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যতম স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। শুধু পতনই ঘটাইনি স্বৈরাচারকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। এ দেশ এখন জনগনের দেশ,জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার।

তিনি বলেন, দেশের অফুরন্ত সম্ভবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য এক মাত্র কেবলমত্র দল হলো বিএনপি। আগামী নির্বাচনে বিএপিকে বিজয়ী করার জন্য তিনি আহবান জানান।

উল্লেখ্য কলারোয়া তালার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৪৯ জন নেতা কর্মীর নামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হমলা চালানোর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বেশ কয়েকজন নেতার নামে ৭০ বছর এবং অন্যন্যনেত কর্মীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিলো। এর মধ্যে জেলে থাকা অবস্থায় ৪ জন নেতাকর্মী মৃত্য বরণ করেন। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতন হলে বিএনপি’র নিতা কর্মীগণ জামিনে মুক্ত হন।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সদ্য কারা মুক্ত ৪৫ জন নেতা কর্মীকে সংবর্দ্ধনা দেওয়া হয়।






সম্পর্কিত সংবাদ

  • কলারোয়ায় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
  • কলারোয়া ইউসিসিএ লিঃ এর সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাইফুল্লাহ আজাদ
  • ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের জানাযা দাফন সম্পন্ন
  • ছাত্র জনতা আওয়ামী জাহেলিয়াতকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে  : শামীম সাঈদী 
  • কলারোয়ায় এবার নতুনরূপে ৩৯ মণ্ডপে আড়ম্বরেই হচ্ছে দুর্গাপূজা
  • কলারোয়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
  • কলারোয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন :: আহবায়ক সঞ্জু, যুগ্ম আহবায়ক সাজেদ
  • কলারোয়ায় জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়ার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত