৩ নারীসহ অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরা নিউজ ডেস্ক ::সাভারের আশুলিয়ায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের ৩ নারীসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আরও দুইজন পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মো. শাহ আলম মৃর্ধার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান হৃদয় (৩৫), নাটোর জেলার সদর থানার মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. জীবন ইসলাম (২৫), নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার মৃত ফজলুর রহমানের মেয়ে মোসা. আফরিন রিয়া (২৪), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার মৃত তোতা মিয়ার মেয়ে মোসা. তানিয়া আক্তার (২৭), নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মোসা. মিতা আক্তার মায়া (৩৫)। তারা আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানের বাসায় ভাড়া থেকে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল।
এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক অপর দুই ব্যক্তি হলেন, আশুলিয়া ভাদাইল রূপায়ন মাঠ এলাকার মোমেন আলী (৪০) ও মো. সুজন হোসেন (২৬)। তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখাতেন।
ভুক্তভোগী বারেক মিয়া মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী। গত ২৮ জুলাই নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানী বাজার এলাকায় গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। পরে তাকে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা ৬২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপরে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগীর ছেলে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশে ২৫ হাজার টাকা পাঠায়। পরে নির্জন স্থানে তাকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি।
পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসে যাত্রীবেসে ঘুরে বেড়ায় একটি অপরাধ চক্র। অন্য যাত্রী সেই গাড়িতে উঠলেই সর্বনাশ। সুযোগ বুঝে অনেক সময় জোর করেও সড়ক থেকে মানুষকে তুলে নেয় তারা। এরপরে চলে অমানবিক নির্যাতন। কাছে থাকা টাকাসহ মূল্যবান জিনিস লুট করে, মুক্তিপণ আদায় করে তারা। এ চক্রের অন্যতম সদস্য আফরিন রিয়া। এর আগেও এ ধরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে জামিনে এসে আবারও অপকর্ম শুরু করেন। চক্রের বাকি সদস্যদের নামেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ”গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি মূলত যাত্রীদের মাইক্রোবাসে উঠিয়ে ছিনতাই এবং অপহরণ করে থাকে। যাত্রীরা যাতে সহজে গাড়িতে ওঠে এজন্য গাড়িতে নারী সদস্যদেরও রাখা হয়।”
তিনি আরও জানান, এ চক্রের সাথে জড়িত বাকিদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করার চেষ্টা চলছে। অপরাধীরা নতুন নতুন কৌশলে মানুষকে ক্ষতি করে আসছে। এ ধরণের ক্ষতি থেকে বাঁচতে আরও সচেতন হতে হবে। অচেনা গাড়িতে ওঠা এড়িয়ে চলতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ড্রাইভারের পরিচয়, মোবাইল নম্বর জেনে নিতে হবে।”
সম্পর্কিত সংবাদ
স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও পরিচালক রেজাউল করিমের নামে যশোর আদালতে মামলা
বেনাপোল প্রতিনিধি : : বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সাবেক পরিচালক রেজাউলবিস্তারিত…
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেপ্তার
নিউজ ডেস্ক :: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহীবিস্তারিত…