সাতক্ষীরায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও এসপিসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ডেস্ক নিউজ :: সাতক্ষীরার দেবহাটার যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক ও সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৭নং আদালতে নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, এএসপি (কালিগঞ্জ সার্কেল) মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক বিশ্বাস, এসআই জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, পিএসআই তানভীর হাসান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এফ এম তারেক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল, রেজাউল, ইব্রাহীম, শাহ জাহান, আবুল হাসেম, হাদিস উদ্দিন, আ. মজিদ, দলিল উদ্দিন, নুর ইসলাম, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের মৃত আজিজ মোড়লের ছেলে নজরুল ইসলাম, দাউদ আলীর ছেলে মুজিবর রহমান, মৃত. মজিদ গাজীর ছেলে মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, কামিনী বসু গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, নংলা গ্রামের এমদাদ বিশ্বাসের ছেলে মাহমুদুল হক লাভলু, ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে সামছুর রহমান, মোবারক আলীর ছেলে মনতেজ, মোমিন গাজীর ছেলে হাবিবুল্লাহ গাজী, মৃত রশিদ বিশ্বাসের ছেলে মোস্তফা বিশ্বাস, মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে মাহমুদ গাজী, আঞ্জু গাজীর ছেলে রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের মৃত মাদার গাজীর ছেলে আ. রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাজ আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনি, আহাদ আলী গাজীর ছেলে এবাদুল গাজী, আব্দার আলীর ছেলে সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের হামিজ উদ্দীন গাজীর ছেলে আকবর আলী, মৃত নেছার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে নাজমুস শাহাদাত (নফর বিশ্বাস), এবাদুল ইসলামের ছেলে জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের আফতাব উদ্দিন সরদারের ছেলে কিলার কামরুল (কেটো কামরুল) এবং দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের মৃত মাদার সরদারের ছেলে আবু মুসা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দেবহাটার নাংলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আনারুল ইসলাম নিজস্ব মৎস্য ঘেরে কাজ করছিল। এসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আনারুল ইসলামকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করলে তিনি জীবনের ভয়ে দৌড় দেয়। এ সময় পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এরপরও উল্লিখিত ব্যক্তিদের নির্দেশে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকে। অথচ উল্টো মৃত আনারুল ইসলামকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

ওই সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী রবিউল ইসলাম দাবি






সম্পর্কিত সংবাদ

  • নলতা হাই স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সোসাইটি’র কমিটি গঠন
  • শ্রীরামপুর যুববিভাগের আয়োজনে ৪ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন।
  • ঝাউডাঙ্গা বাজার কমিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
  • পায়ে হেঁটে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ঘুরে গেলেন ৫ রোভার স্কাউট
  • অসুস্থ আব্দুস সেলিমকে দেখতে বাড়িতে গেলেন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ 
  • সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে মেয়েদের ৩৬ তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী
  • চলমান শীত মৌসুমে সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে দুর্গত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আল আমিন ট্রাষ্টের উদ্যোগে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান অনুষ্ঠান